প্রকাশ: রোববার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৭ অপরাহ্ন
ফরিদপুরের গেরদার কাফুরা রেল ক্রসিং এ ভয়াবহ দূর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৪ জন আহতের ঘটনায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা শেখ জিন্নাতও (৫৯) চলে গেলেন। এ নিয়ে ছয়জনের মৃত্যু হল। জিন্নাত ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা এলাকার বাসিন্দা। তিনি রেল লাইনের পাশে চায়ের দোকান করতেন।
চারদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত বারোটার দিকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জিন্নাতের বড় ছেলে শামীম শেখ তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে ফরিদপুরের গেরদা ইউনিয়নে মুন্সীবাজার কাফুরায় রেলক্রসিং এ রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস এর ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত হন। নিহতরা সকলে নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন। ফরিদপুরে বেড়াতে এসে তারা দূর্ঘটনায় পড়েন। এই ঘটনায় আরো ৪ জন আহত হন। তার মধ্যে গুরুতর আহত হন ফরিদপুরের শেখ জিন্নাত। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল থেকে ঢাকার মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
দুর্ঘটনার দিন মাইক্রোবাসটিকে বাঁচাতে রাস্তার পাশে থেকে সিগন্যাল দিচ্ছিলেন জিন্নাত। সিগন্যাল লক্ষ্য না করে সড়কে উঠে পরে মাইক্রোবাসটি।
এসময় মাইক্রোবাসটি রেলের ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। গাড়ির সামনের ভাড়ি গ্লাসটি ভেঙ্গে ছুটে গিয়ে জিন্নাতের বুকে আঘাত করে। এতে জিন্নাতের বুকের ৬টি হাড় ভেঙ্গে যায়। গ্লাসের ভাঙ্গা টুকরার আঘাতে পেট ফুটো হয়ে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গুরুতর আহত জিন্নাতের শারারিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ( ৮ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
জিন্নাতের বড় ছেলে শামীম শেখ জানান, অসুস্থ বাবাকে ঢাকা রেফার্ড করলে প্রথমে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করাতে তারা ভর্তি নেয়নি। সেখান থেকে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে সেখানে ভর্তি করাতে পারিনি। এরপর দুইদিন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এরমধ্যে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলাম। শনিবার(১১ জানুয়ারী) রাত দশটার দিকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সিট পেয়ে বাবাকে ভর্তি করি। রাত বারোটার দিকে বাবার মৃত্যু হয়।