প্রকাশ: বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২:১৩ অপরাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। ওই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একজন আহত হওয়ার ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে উত্তরা পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন ভুক্তভোগী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন। ২৯ অক্টোবর মামলাটি রুজু হয়। মামলা নম্বর ৯। এই মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার হন শমী কায়সার। তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। গত ১৪ আগস্ট ই-ক্যাব থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির। আদালত মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
শমী কায়সারের বিরুদ্ধে সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগী নিজেই গত ৯ অক্টোবর এই মামলা করেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।