ব্যাংক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংক ও চারটি বিশেষায়িত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ব্যাংকগুলোর এমডি পদ শূন্য আছে। এসব ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রধান উপদেষ্টার সায় ও সবকিছু ঠিক থাকলে আজ-কালের মধ্যে নতুন এমডি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন এমডি হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকে যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে—
সোনালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খানকে; জনতা ব্যাংকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মজিবর রহমানকে; অগ্রণী ব্যাংকে একই ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলামকে; রূপালী ব্যাংকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহিমকে; বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে জনতা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিনকে এবং বেসিক ব্যাংকে এমডি হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে জনতা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খানকে।
বিশেষায়িত ৪ ব্যাংকের এমডি হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে—
সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোফাজ্জল হোসেনকে করা হচ্ছে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি করা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমা বানুকে। সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিতা বিনতে আলীকে করা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে।
ব্যাংক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব ব্যাংকের এমডিদের একসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়। সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল —এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়োগ বাতিল করে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ব্যাংকগুলোর সার্বিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এমডি না থাকায় এসব ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যানরাও ভূমিকা রাখতে পারছেন না।