প্রকাশ: রোববার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:২৫ অপরাহ্ন
কম বয়সে অনেকেই বাতের ব্যথায় ভোগেন। হাঁটাচলা করতেও বেশ অসুবিধা হয়। ব্যথা কমাতে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের পেইনকিলার খান। কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, আবার কেউ নেন না। যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করেন তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন। এমনকি কিডনি ও লিভার বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাতের ব্যথা সারাতে ঘরোয়া ও ভেষজ উপায়ের ওপর ভরসা করতে পারেন। আদা এমনই একটি ভেষজ, যা বিভিন্ন উপকারের পাশাপাশি বাত ও আথ্রাইটিসের ব্যথা কমাতেও কাজ করে।
এই ভেষজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এ কারণে আদা খেলে ব্যথা-বেদনা কমে। এর পাশাপাশি এই ভেষজে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপারের মতো ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। আর এ সব উপাদান জয়েন্ট ও নার্ভের ব্যথা কিছুটা হলেও কমাতে পারে।
কোন কোন আর্থ্রাইটিসে আদা কার্যকরী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় দারুণ কাজ করে আদা। তাই এই দুই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা নিয়মিত আদা সেবন করতে পারেন। এক্ষেত্রে রোজ একটি ছোট সাইজের আদার টুকরো চিবিয়ে বা পানি দিয়ে গিলে খান। এতে উপকার মিলবে।
আদার অন্যান্য উপকারিতা
গ্যাস, অ্যাসিডিটির দাওয়াই:
যাঁদের গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত আদা খেতে পারেন। এতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অন্ত্র ও পাকস্থলীর হাল ফেরায়। আদা খেলে হজমশক্তি বাড়ে এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূর হয়। নিয়মিত আদা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
সুস্থ থাকতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আদায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত আদা খেলে সংক্রামক অসুখ কাছে ঘেঁষতে পারে না।
ক্যানসার প্রতিরোধ:
আদায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়ক। এমনকি আদায় থাকা উপাদানগুলো ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত আদা খেতে পারেন।