বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ব্যস্ত সময় কাটছে ফারুক আহমেদের। সাবেক এই অধিনায়ক প্রায় প্রতিদিনই ক্রিকেট বোর্ডে সময় দিচ্ছেন। দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বোর্ড সভাও ডেকেছেন।
আজ তিনি গিয়েছিলেন পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ‘দ্য বোট’–এর জন্য বরাদ্দ করা জমি দেখতে। সঙ্গে ছিলেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান, ইফতেখার আহমেদ, নাজমূল আবেদীন, ফাহিম সিনহা, কাজী ইনাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
পূর্বাচলের সাড়ে ৩৭ একর জমি ঘুরে দেখে সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুটি খেলার মাঠ বানানোর কথা বলেছেন ফারুক আহমেদ। স্টেডিয়ামের নাম ও নকশাও যে বদলে যাবে, বলেছেন সে কথাও।
পরিদর্শন শেষে সংবাদ মাধ্যমে ফারুক বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রধান ইচ্ছা ছিল মাঠগুলোর উন্নতি। নতুন মাঠও যদি করতে পারি, সেটা নিয়েও চিন্তা করছিলাম। যেহেতু এটা আমাদের নিজস্ব জায়গা, এটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা ছিল। এখন এটাকে আমরা যত দ্রুত মাঠের কাঠামোতে রূপ দিতে পারি, সে চেষ্টা করব। আমাদের যে মাঠগুলোর উন্নতি করার কথা, সেগুলোর সঙ্গে এটা যোগ হবে।’
ফারুক পরে যোগ করেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে যাব। এখানে দুটি মাঠ হওয়ার কথা ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে আমরা এত বাজেট অ্যাফোর্ড করতে পারব না। সে জন্য প্রথমে একটা মাঠ দিয়ে শুরু করব, তারপর পাশের মাঠটা করার চেষ্টা করব। দ্রুতই মাঠের কাজ শুরু করব। এখন আমাদের অনেক ধরনের খেলা, আপনারা সবাই জানেন। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে নারী ক্রিকেট, ক্লাব ক্রিকেট অনেক খেলা। এখন সে জন্য মাঠটা তৈরি করব।’
নাজমুল হোসেনের আগের বোর্ড পপুলাস নামের অস্ট্রেলিয়ান একটি প্রতিষ্ঠানকে স্টেডিয়াম নির্মাণের পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলেই যত দ্রুত সম্ভব মাঠের কাজ শুরু করতে চান ফারুক, ‘আমি আগেই উল্লেখ করেছি, কনসালটেন্সিতে আমাদের টাকা ইনভেস্ট হয়েছে। ওটাকে ধরেই বড় কোনো পরিবর্তন না করে আপনি তো একদিনে সব করতে পারবেন না। মাঠ, ড্রেসিংরুম আমি ওদের প্ল্যানটা পুরোপুরি দেখিনি। এটা নিয়ে আমার কথা বলাটাও ঠিক হবে না। ওই প্ল্যানটা দেখে, ড্রইং দেখে ওদের সাজেশন অনুযায়ী আমরা প্রথমে মাঠ করার চেষ্টা করব।’
স্টেডিয়ামে নৌকার প্রতিকৃতি থাকবে কি না, এ প্রসঙ্গে বোর্ড সভাপতির বক্তব্য, ‘মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নাই। মাঠ করতে ওভাল দরকার। মাঠ করতে যা দরকার, তা করব।’
স্টেডিয়ামের নাম যে ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ থাকছে না, সে আভাসও আছে ফারুক আহমেদের কথায়, ‘এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রিকেট বোর্ড মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।’