প্রকাশ: রোববার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিনগত রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজীকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
তবে গত ২০ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় করা অন্তত আটটি হত্যা মামলার আসামি গোলাম দস্তগীর গাজী।
মামলাগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শ্রমিক জনি, শফিক মিয়া ও আশিক মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার ও কিশোর হুসাইন, আড়াইহাজারে বিএনপি নেতা বাবুল মিয়া ও শফিকুল ইসলাম শফিক এবং রূপগঞ্জে স্কুলছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলা।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খালিদ হোসেন জানান, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল শান্তিনগরে এক আত্মীয়র বাসা থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করে। পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
রূপগঞ্জে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আনন্দ মিছিল বের হলে সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় স্কুলছাত্র রোমান মিয়া। এ ঘটনায় নিহতের খালা রিনা বাদী হয়ে ২১ আগস্ট সকালে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রূপগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, তাঁর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা গাজীকে।
নিহত রোমান রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে চনপাড়া নব কিশালয় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মামলার অভিযোগে বাদী রিনা বলেন, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের খবরে ছাত্র জনতার আনন্দ মিছিল চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার জনকল্যাণ স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আসামিরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয় রোমান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।