প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ৫:১৯ অপরাহ্ন
ইউরোপা লিগের তৃতীয় পর্যায়ের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ দেখলেন ফুটবলপ্রেমীরা। একের পর এক টাইব্রেকার চলতেই থাকলো, শেষ পর্যন্ত ইউরোপিয়ান ফুটবলে হলো নতুন রেকর্ড।
ম্যাচে নেওয়া হয় মোট ৩৪টি পেনাল্টি কিক। শেষ পর্যন্ত পানাথিনাইকোসকে ১৩-১২ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের দিকে এক পা বাড়ালো নেদারল্যান্ডসের ক্লাব দল আয়াক্স।
পেনাল্টি নেওয়ার দিক থেকে ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার লড়াইয়ের রেকর্ড ভেঙে দিলো এই ম্যাচ। সেই ম্যাচে ৩২টি পেনাল্টি শ্যুটআউট হয়েছিল।
নির্ধারিত সময় শেষে দুই লেগের ফল মিলিয়ে দেখা যায়, নেদারল্যান্ডসের আয়াক্স এবং গ্রিসের পানাথিনাইকোস দল দাঁড়িয়ে রয়েছে একই জায়গায়। গত সপ্তাহে গ্রিসে গিয়ে ১-০ ফলে জিতেছিল আয়াক্স, ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের শেষ লগ্নে গোল খেয়ে আয়াক্স ১-০ ফলে পিছিয়ে যায়।
পয়েন্ট এবং গোলপার্থক্য একই থাকায় অতিরিক্ত সময়ে যায় ম্যাচ। সেখানেও দুই দলের কেউই পরের রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই দুই দলে ৩৪টি শটের পর জয়ের দেখা পায় আয়াক্স।
টাইব্রেকারে আয়াক্সের হয়ে পাঁচটি সেভ কতরেন গোলরক্ষক রেমকো পাসভির। প্রথমে নির্ধারিত পাঁচটি টাইব্রেকার শেষ ফল ছিল ৪-৪। এরপর সাডেন ডেথে গিয়েও লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। হয় দুই দলের ফুটবলাররা গোল করছিলেন, নাহলে মিস করছিলেন।
শেষ পর্যন্ত পানাথিনাইকোসের টনি ভিলহেনার শট মিস হতে, আয়াক্সের ডিফেন্ডার অ্যান্টন গাই গোল করে দলকে প্লে অফে তোলেন।
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে দীর্ঘতম পেনাল্টি শ্যুটআউটের রেকর্ডটি হয়েছিল চলতি বছরের মে মাসে। ইসরায়েলের তৃতীয় ডিভিশনে এসসি দিমোনা এবং সিমসন তেল আভিভের সেমিফাইনালের ম্যাচে সেদিন নেওয়া হয়েছিল ৫৬টি টাইব্রেকার শট।