প্রকাশ: রোববার, ১১ আগস্ট, ২০২৪, ৫:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ১১ আগস্ট, ২০২৪, ৫:৪১ অপরাহ্ন
ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নীরবতা ভাঙলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তিকে দায়ী করেছেন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ অভিযোগ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ‘বিদেশি শক্তির হাত’ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মাথায় এমন কথা বললেন শেখ হাসিনা।
বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম, যদি আমি সেন্টমার্টিন দ্বীপের সার্বভৌমত্ব ছেড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বঙ্গোপসাগরে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে দিতাম।
তিনি বলেন, আমি পদত্যাগ করেছি যাতে আমাকে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। আমি যদি দেশে থাকতাম, তাহলে আরও প্রাণ হারিয়ে যেত, আরও সম্পদ ধ্বংস হতো। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমি দেশত্যাগের মতো অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আমি আমার দেশের জনগণকে বলতে চাই, দয়া করে মৌলবাদীদের দ্বারা প্রতারিত হবেন না।
শেখ হাসিনা তার বার্তায় দেশে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি শিগগিরই ফিরব, ইনশাআল্লাহ। পরাজয় আমার, কিন্তু জয়ী হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। আপনাদের সমর্থন নিয়ে আমি এসেছিলাম, আপনারা ছিলেন আমার শক্তি। আপনারা যখন আমাকে চাননি, তখন আমি নিজে থেকে সরে গেছি, পদত্যাগ করেছি। আমার যেসব কর্মী সেখানে (দেশে) আছেন, তারা কেউ মনোবল হারাবেন না। আওয়ামী লীগ বারবারই উঠে দাঁড়িয়েছে, আবারও দাঁড়াবে।
কোটা আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের আবারও বলতে চাই, আমি কোনোভাবেই তোমাদের রাজাকার বলিনি। বরং তোমাদের উত্তেজিত করতে আমার কথাগুলো বিকৃত করা হয়েছিল। সেদিনের পুরো ভিডিওটি আবারও দেখার জন্য অনুরোধ করছি। ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নিয়েছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে আপনাদের ব্যবহার করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের টানা তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। পরে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।