প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪, ৪:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪, ৪:৪১ অপরাহ্ন
সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যনারে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বসিলা এলাকায় টানা কয়েক দিন সহিংসতা হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনার পরেও কার্যত তারা ছিলেন নিষক্রিয়। আন্দোলন মোকাবিলার ব্যর্থতায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ঢাকা-১৩ আসনের তিন থানা ও আট ওয়ার্ডের অন্তর্গত ২৭টি ইউনিট শাখা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন মোকাবিলায় নিষক্রিয়তার জন্য ঢাকা-১৩ নির্বাচনী এলাকার তিন থানা ও আট ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত ২৭টি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা-১৩ আসনের মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরে বাংলা নগর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এর আগে গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই শুক্রবার ও ২০ জুলাই শনিবার ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকা আন্দোলনকারীদের দখলে ছিল। যাদের মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। কিন্তু দেখা যায়নি আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। সাংগঠনিক দুর্বলতায় সরকার বিরোধীরা আধিপত্যের সুযোগ পেয়েছিলেন বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এমনকি সকল ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা আন্দোলন মোকাবিলায় সরাসরি অংশ নেননি বলেও অভিযোগ ওঠে।
গত ২১ জুলাই রোববার থেকে মোহাম্মদপুর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর কারফিউ ও সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বস্ত্র মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। ২৪ জুলাই বুধবার মোহাম্মদপুরের টাউন হল মোড় ও আদাবরে খাবার বিতরণ করা হয়। সে সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে দেখা যায়। তাঁদের রাজপথ না ছাড়ার নানান স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
শেখ বজলুর রহমান বলেন, ভেঙে দেওয়া ২৭ ইউনিট কমিটি গঠনের জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর ওই তিন থানা ও আট ওয়ার্ডসহ ঢাকা মহানগর উত্তরের সকল থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করে তারা গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির জমা দিয়েছেন।
এদিকে ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের থানা ও ওয়ার্ড কমিটির প্রস্তাবিত নেতাদেরও মাঠে দেখা যায়নি বলে স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন।