প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪, ২:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ন
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করার পরেই বিএনপি সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি অভিযোগ বলেন, এই আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়ে বিএনপি সমাবেশ ডেকেছিল। সেই সমাবেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পণ্ড করে দেয় এবং হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। দেশে এর আগে কখনো এটা ঘটেনি, এটাই প্রথম ঘটলো। খুবই মারাত্মক ঘটনা।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, এই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি’র কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা বিষয়কে আওয়ামী লীগ রাজনীতিকীকরণ করতে চায়। বিএনপি যেহেতু রাজনৈতিক দল এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। সেকারণে এখানে (শিক্ষার্থীদের আন্দোলন) তারা বিএনপিকে দোষারোপ করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল। এরপরে শিক্ষার্থীদের যখন অন্যায়ভাবে গুলি করে মারলো তখন আমরা গায়েবানা জানাজা করতে গিয়েছি, সেখানে বাধা দেয়া হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত আমি নিহতদের তালিকা দিতে পারবো না। তবে মারা গেছেন। আমি জানি, বেশ কয়েক জায়গায় আমাদের কিছু ছাত্র ও শ্রমিক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আমাদের কিছু কর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রদের সঙ্গে একসঙ্গে আন্দোলন করতে গিয়ে এটা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টাও এই মুহূর্তে বলবো না। তবে মঙ্গলবারের পত্রিকায় যেটা আমি দেখেছি, ইতিমধ্যে সাড়ে ৩ শ’ ছাড়িয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এজন্য যে, আমি কোটার পক্ষে না। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমার দলের কথা বলছি না। নিঃসন্দেহে যারা মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে আমি বিশ্বাস করি। । বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদেরকে বিশেষ বিশেষ সুবিধা দেয়ার পক্ষে আমি। সেটা দেয়া উচিত। তাদের সন্তাদেরও দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন ছিল, কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে। এটা ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত দাবি ছিল। যেটা ২০১৮ সালের আন্দোলনের ফলে মীমাংসাও হয়ে গিয়েছিল, সেটাকে আদালতের মাধ্যমে আবারো শুরু করলো! এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। এটা কেন হঠাৎ করে হলো? যখনই সরকারের বিরুদ্ধে কতোগুলো দাবি, জনমত এবং জনসমর্থন পেতে থাকে তখনই একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করে সেটাকে ভিন্ন দিকে নেয়া হয়। এখানে দুর্নীতির বিষয়টা এত বেশি করে সামনে চলে এসেছিল যে, এটাকে ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য এটা হলো কিনা- সেটা নিয়েও কিন্তু অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই সিদ্ধান্ত এখনো আমরা নেইনি। আমাদের অনেক নেতাই এখন কারাগারে আছেন। কারফিউ চলছে। ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। সেকারণে আমরা আমাদের সভা করতে পারছি না। যে সভার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত নেই। তবে আমরা বলেছি, আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে। আন্দোলন চলমান আছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। ছাত্রদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একত্রিত হয়ে তাদের কম্প্লিট শাটডাউনকে সমর্থন দিয়েছি।