প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪, ৬:০০ অপরাহ্ন
ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ইংল্যান্ডের গোলদাতা হ্যারি কেন এবং ওলি ওয়াটকিনস।
ইউরো কাপের ফাইনালে চলে গেল ইংল্যান্ড। সেমিতে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ইংরেজরা। ম্যাচে অবশ্য শুরুতে এগিয়ে গেছিল ডাচরাই, কিন্তু সেই লিড ধরে রেখে ম্যাচ বের করতে পারল না নেদারল্যান্ডস। চার বছর পর ফের মেজর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ইংল্যান্ডের কাছে। সাম্প্রতিককালে হাইপ্রোফাইল দল নিয়েও ট্রফি জিততে ব্যর্থ হয়েছে ইংরেজরা। এই বছর স্পেনের তুলনায় তাঁদের ফাইনালে ওঠার রাস্তা সামান্য সহজ ছিল। ফলে ফাইনালে স্পেনকে হারাতে পারলেই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেবে হ্যারি কেন, বুকায়ো সাকারা। গতবারও গ্যারেথ সাউথগেটের কোচিংয়ে ইউরো কাপের ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড, কিন্তু ট্রফি জেতা হয়নি। এবার ফের একবার সুযোগ রয়েছে ট্রফির খরা কাটানোর।
ম্যাচের ৮ মিনিটেই নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দিয়েছিল সিমন। অসাধারণ শটে টপ কর্নারে বল রেখে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এগিয়ে গেলেও অবশ্য ভ্যান জিকদের খেলায় একটা জড়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তারই সুযোগ নেয় ইংল্যান্ড। ১৮ মিনিটে হ্যারি কেনকে আটকাতে না পেরে তাঁকে ফাউল করে বসেন ডাচ ডিফেন্ডার ডামফ্রিস, বক্সের ভিতর ফাউলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড দল। স্পট কিক থেকে গোল করতে কোনও ভুলই করেননি হ্যারি কেইন, ১-১ হয়ে যায় স্কোরলাইন। এরপর খেলা হয়ে ওঠে উত্তেজক। দুই দলই কিছুটা মেপে ফুটবল খেলতে থাকে, অবশ্য বল পজিশন, শট সবেতেই এগিয়ে ছিল গ্যারেথ সাউথগেটের দলই।
ম্যাচে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত খেলার স্কোরলাইন ছিল ১-১। ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠে যখন সকলে ধরেই নিয়েছে ম্যাচ গড়াচ্ছে এক্সট্রা টাইমে, তখনই আসে ক্লাইম্যাক্স। ম্যাচ শেষের কয়েক মিনিট আগেই গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন ওলি ওয়াটকিন্স। ৯০ মিনিটে গোল হজম করায় নেদারল্যান্ডসের কাছে ফিরে আসার কাজটা ছিল অত্যন্ত কঠিন। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ হেরে ইউরো থেকে বিদায় নেয় ডাচরা। ম্যাচের শেষ লগ্নেই ইংল্যান্ডের কোচ আক্রমণে জোর বাড়াতে ওয়াটকিনসকে নিয়ে এসেছিলেন। কারণ অতীতে বহুবারই দেখা গেছে ইংল্যান্ডের টাইব্রেকার ভাগ্য সহায় থাকেনি। সেই স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগতেই ইউরোর ফাইনালে পৌঁছে গেল থ্রি লায়ন্সরা। রবিবার রাতে ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। ট্রফির খরা কাটানোর সুবর্ণ সুযোগ ইংরেজদের কাছে। অবশ্য তুখোর ফর্মে থাকা লামিন ইয়ামাল, ওলমোদের বিপক্ষে কাজটা মোটেই সহজ হবে না ইংল্যান্ড দলের, তা বলাই বাহুল্য।