প্রকাশ: বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪, ৫:৫৩ অপরাহ্ন
শক্তি–সামর্থ্যের বিচারে ভারত ও ইংল্যান্ডকে বেশির ভাগ মানুষই হয়তো রেখেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও আগেভাগেই বাদ দিয়ে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু আফগানিস্তানকে নিয়ে এত দূর ভেবেছেন, এমন লোক হয়তো খুব বেশি নেই।
বিশ্বমঞ্চে বড় কিছুর আভাস গত বছরই দিয়ে রেখেছিল আফগানিস্তান। ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারিয়েছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দলকে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২০১ রানের অতিমানবীয় ইনিংসটা না খেললে সেবারই সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকত। ৭ মাস আগের আক্ষেপ ভুলে এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঠিকই শেষ চারে জায়গা করে নিল আফগানরা।
অথচ সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে আফগানিস্তান বড় ব্যবধানে হেরেছিল। বিশ্বকাপের সহ–আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হার আরও বাজেভাবে। তবে এর আগেই তারা হেসেখেলে শেষ আটে উঠে গিয়েছিল। উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় প্রত্যাশিতই ছিল।
কিন্তু সব ধরনের বিশ্বকাপ মিলিয়ে গত ৬ আসরের প্রতিটিতে সেমিফাইনালে খেলা নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৭৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৮৪ রানের জয়টা ক্রিকেট বিশ্লেষকের নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করে।
গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোনোর পথে কিউইবধ আর সুপার এইটের বাধা টপকানোর পথে অস্ট্রেলিয়াবধ, আরেকটি আফগান–রূপকথা লিখতে রশিদ খানের দল হয়তো তাসমান সাগরপারের দুই প্রতিবেশীকে ‘টার্গেট’ করে রেখেছিল!
সব ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা একমাত্র দল হলে কী হবে, দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো জয়ই ঠিক স্বাচ্ছন্দ্যময় ছিল না। শুরুতে অনেকে হয়তো ভেবেছিলেন, নিউইয়র্কের মতো ড্রপ ইন পিচে টানা ৩ ম্যাচ খেলতে হয়েছে বলেই ডি কক–রাবাদা–ক্লাসেনরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি।