প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে বাংলাদেশকে প্রত্যাশা বরাবরই তলানিতে। এবারও ছিল তেমনটাই। বিশেষ করে, বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারায় সেই প্রত্যাশা আরও ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই নতুন করে জ্বালানি খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফিরে পেয়েছে আত্মবিশ্বাস। দর্শকরাও ফের আশায় স্বপ্ন বুনছে লাল-সবুজ দলকে নিয়ে।
জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশের সামনে এবার দক্ষিণ আফ্রিকা পরীক্ষা। বিশ্বকাপের ২১তম ম্যাচে আজ সোমবার (১০ জুন) প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে হেরে আগে বোলিংয়ে বাংলাদেশ। মূলত নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মন্থর পিচে পরে ব্যাট করলে ভুগতে হয় দলগুলোকে। তাই আগে ব্যাটিংটাই বেছে নিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। যাদের বিপক্ষে এখনও এই ফরম্যাটে জয়হীন বাংলাদেশ। এই হারের বৃত্ত ভাঙতে আজ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেন্ড্রিকসকে মাঠছাড়া করে বাংলাদেশকে স্বপ্নময় শুরু এনে দেন তানজিম সাকিব। তার উইকেট উল্লাসের মাঝেই বাংলাদেশকে আবারও উদযাপনের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ওয়ানডাউনে নামা এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে প্রোটিয়াদের বড় ধাক্কা দেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক।
এরপর আবারও সাকিবের আঘাত। মাত্র ২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে বিপদে দক্ষিণ আফ্রিকা।
গত ম্যাচের মতোই বাংলাদেশের বোলিং ইনিংস আজও ওপেন করেন তানজিম হাসান সাকিব। প্রথম বলটা শুরু করেন ডট দিয়ে। পরের দুই বলেই খান ছক্কা-চার! পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন কুইন্টন ডি কক।
উইকেটে আসেন নতুন ব্যাটার রেজা হেন্ড্রিকস। তাকে আর উড়িয়ে মারতে দেননি সাকিব। বাংলাদেশি পেসারকে মোকাবিলায় প্রথম বলেই এলবি হয়ে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার। প্রথম ওভারে প্রোটিয়াদের ধাক্কা দিয়ে দারুণ শুরু বাংলাদেশের। দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৩ রান তুলতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। ফলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১৪।