প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
বোলিংয়ে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির-নাসিম শাহরা। ভারতের ব্যাটিং প্রসিদ্ধ লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন মাত্র ১১৯ রানে। নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে এই রানটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠে পাকিস্তানের। শেষ পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ৬ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাবর আজমের দল।
অথচ ১২০ বলে ১২০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাওয়ারপ্লে শেষের পরেও জয়ের সম্ভাব্যতায় দেখানো হয়েছিল পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ। ইনিংসে ১২ ওভারে ৭২ রান করে সেই লক্ষ্যে ঠিকই টিকে ছিল তারা। কিস্তু পরের ৩০ বল থেকে পাকিস্তানের রান উঠেছে মোটে ১৭। উইকেট হারিয়েছে ৩টি।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ১২০ রানের ক্ষুদ্র টার্গেটে এসেও পাকিস্তানকে থামতে হয়েছে ১১৩ রানে এসে। ৬ রানের এই অবিশ্বাস্য হারে গত আসরের রানার্সআপদের বিদায়টাও প্রায় অনিবার্য হয়ে পড়েছে এবারের বিশ্বকাপ থেকে। হার্দিক পান্ডিয়া-জাসপ্রিত বুমরাহরা ভারতকে এনে দিয়েছেন মনে রাখার মতো এক জয়। এটি ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়।
ইনিংসের ১৯তম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহ করেছেন স্মরণীয় এক ডেথ ওভার। জয়ের ক্ষণিক আশাও পাকিস্তান হারিয়ে ফেলে সেখানেই। ১৯তম ওভারে এসেছে মোটে ৩ রান। শেষ ওভারে বাকি ১৮ রান তোলা হয়নি গ্যারি কার্স্টেন শিষ্যদের। আর্শদ্বীপ সিংয়ের ওভারের প্রথম বলে আউট হলেন ইমাদ ওয়াসিম। পরের ৫ বলে তারা নিয়েছে ১০ রান। এই নিয়ে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮ম ম্যাচের মধ্যে ৭ম পরাজয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান।