প্রকাশ: রোববার, ১৯ মে, ২০২৪, ১:১৬ অপরাহ্ন
বিরোধীদলগুলো নির্বাচনে না আসায় উপজেলা নির্বাচনকেও একদলীয় নির্বাচন হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়া নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত বলেও মনে করছেন তারা। এ অবস্থা থেকে বের হবার পথ ক্ষমতাসীন দলকেই খুঁজে বের করতে হবে বলে জানান তারা।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলার ভোটে যে বিষয়টি আলোচনায় ছিলো তা হলো অন্য নির্বাচনের চেয়ে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির স্বল্পতা। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে খোদ সরকারি দলকেও।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো একতরফা নির্বাচন হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম বলা হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলগুলোর কর্মকাণ্ডের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা এখন আর নেই।
মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির বলেন, অবস্থা এমন যে, দল হয়ে গেছে প্রধান। আর জনগণ হয়ে গেছে শুধু তাদের সমর্থন দেয়া আর না দেয়ার বিষয়। কোনো দল যদি জনগণের কাছে না যায়, জনমুখী না হয় তাহলে রাজনৈতিক দল যেভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সেভাবেই থাকবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, দেশের রাজনীতি পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের মধ্যে বিভাজন দেখা যাচ্ছে। দলের পতাকা না হলেও কে কোন দলের, জনগণ জানে। মানুষের মধ্যে যেনো ভোটের বিষয়টি হারিয়ে যাচ্ছে, যে ভোট হলেই কী আর না হলেই কী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানো না গেলে আগামীতে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে যাবে। আর এ দায় ক্ষমতাসীন দলকেই নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলগুলোর দিকে তাকিয়ে না থেকে কমিশনকেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিতে হবে।
এবারের উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটের লড়াই শেষ হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায় ভোট হবে ২১ মে। আর তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ৫ জুন।