প্রকাশ: শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ৬:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। অনেকের কাছে তিনি আবার ফুটবল ঈশ্বর, সেরাদের সেরা। যত নামেই ডাকা হোক না কেন, তিনি আর্জেন্টাইন ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তখন ধারণা করা হয়েছিল হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন ম্যারাডোনা।
তবে এরপর আর্জেন্টিনার এই মহাতারকার মৃত্যুর সময় দায়িত্ব পালন করা আট ডাক্তার ও নার্সের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার কারণে রোগীর মুত্যু হয়েছে কি না-সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। সেই আটজনের মধ্যে রয়েছেন ম্যারাডোনার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্তিনা কোসাশভ ও ডক্টর লিওপোল্দো লুক। তাদের আইনজীবীদের অনুরোধের ভিত্তিতে ম্যারাডোনার হার্ট অ্যাটাকের কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা করা হয়। এতেই পাওয়া যায় ভিন্ন রিপোর্ট।
পরীক্ষক পাবলো ফেরারির ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারাডোনার ওই সময়ের দ্রুত ও অনিশ্চিত হৃদক্রিয়ার পেছনে বাহ্যিক (এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর) কোনো বস্তুর প্রভাব থাকতে পারে। সেটা হতে পারে কোকেইনের মতো নেশাজাতীয় দ্রব্য।’
এই তথ্য সামনে আসতেই চটেছেন ম্যারাডোনার মেয়ে জিয়ান্নিনা ম্যারাডোনা। প্রতিবাদ জানিয়ে জিয়ান্নিনা অটোপসি রিপোর্টের ফল সামনে এনে দেখিয়েছেন- ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ ছিল পালমোনারি এডেমা। তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ৯ মে থেকে আমার বাবা কোকেইন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অটোপসি রিপোর্টেও প্রমাণ হয় যেদিন বাবা স্বর্গে গেলেন ওইদিন তার হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
ওই সময় তার শরীরে কী কী পাওয়া গেছে সেটিও ওই রিপোর্টে আছে। ওইদিন তার কণ্ঠ রোবটের মতো শোনাচ্ছিল কারণ তার ফুসফুসে কিছু একটা হচ্ছিল। পৃথিবীর সবাই জানে তিনি হার্টের রোগী। তারপরও হার্টের রোগের জন্য কোনো মেডিকেশন দেয়া হয়নি। এবং কেউ তার ফুসফুসের দিকেও নজর দেয়নি।’
জিয়ান্নিনা মনে করেন দায়িত্বে অবহেলার কারণে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তারা আসলেই দোষী, ‘নিজেদের কাজ ঠিকমতো না করার কারণেই আজ তারা এখানে। এখন তারা নিজেদের জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাতে এইসব করছে। আমি কিছুতেই ভয় পাই না। প্রয়োজনে আমাকে ওদের মেরে ফেলতে হবে। তার আগে আমাকে চুপ করানো যাবে না।’