তাবদাহের কারণে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার সঙ্গে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
গরমের তীব্রতার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের বিচারিক আদালতের আইনজীবীদের জন্য গাউন ও কোট পরায় শিথিলতা দেয়া হয়েছে।
তবে গাউনের পাশাপাশি কোট পরা বন্ধে রোববার (২১ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির কাছে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতারা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে (হাইকোর্ট-আপিল বিভাগ) মামলা পরিচালনার সময় আইনজীবীদের গাউন পরার বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আইনজীবীরা চাইলে গাউন পরবেন অথবা গাউন ছাড়াই কোর্টে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন।
এদিকে দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাবদাহের কারণে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং আইনজীবীদের কালো কোট ও গাউন পরার বাধ্যবাধকতা নেই। এ বিষয়ে গত ৯ এপ্রিল এটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক শাহ্ মনজুরুল হক বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এ বিষয়ে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমাদের মৌখিক আবেদনটি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এটি পজিটিভ দিক।’
এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, ‘গাউনের চেয়ে কোটটা বেশি গরম। গাউনের পাশাপাশি কোটটা যেন পরতে না হয় সে বিষয়ে আগামীকাল কথা বলব। এটা বিবেচনায় নিলে আইনজীবীরা আরও খুশি হবেন।’
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গরমে গাউন পরা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে এটি একটি ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি। কারণ সারাদেশে অনেক গরম পড়েছে। গরমে জনজীবন অস্থির। এর আগেও গরমে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গাউনে শিথিলতা দিয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তকে আমি ইতিবাচক বলে মনে করছি।’
আইনজীবী আয়েশা সোনিয়া বলেন, আগামীকাল থেকে সুপ্রিম খোলা হচ্ছে। মামলা পরিচালনার জন্য বিচারপতি আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা আসবেন। পোশাকের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে এই আইনজীবী বলেন, আসলে সুপ্রিম কোর্টে এসি আছে। এজন্য এখানে গরমটা কম লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা আইনজীবীরা কোর্টের ভেতরে এজলাসে প্রবেশের সময় কোট গাউন পরি। বাইরে শুধু কোট পরি। আমার মনে হয় গাউনসহ কোটটাও পরিহার করা উচিত এই গরমের সময়। কারণ গাউন তো পাতলা কাপড়, এটির চেয়ে বেশি গরম কোটে।
আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। কারণ গরমে অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে। আর এই গরম কতদিন থাকবে তা কেউই জানেন না। আদালতের এজলাসের ভেতরে এসি থাকায় সেখানে কিছুটা স্বস্তি লাগে, কিন্তু বাইরে তো অনেক গরম। কোর্টের বাইরে চলাফেরা করতে গেলে অনেক কষ্ট হয়।