নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোর জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫১ নেতা–কর্মীকে জামিনে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর জেলা দায়রা ও জজ আদালতে জামিন শুনানির পর বিচারক শেখ নাজমুল আলম নেতাকর্মীদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে জামিন শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন, আইনজীবী দেবাশীষ দাস।
আদলত থেকে বিকেলে জামিনের কাগজপত্র যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অনিন্দ্য ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ মুক্তি লাভ করেন।
মুক্তি পাওয়া অন্যা নেতাকর্মীরা হলেন, জেলা বিএনপির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।
এদিকে জামিনের সংবাদ পেয়ে বেলা তিনটা থেকে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের বাইরে অপেক্ষা করেন। জেলার আটটি উপজেলা ও পৌরসভাসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও দলীয় নেতা-কর্মীরা ছুটে আসেন।
সেখানে উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন, যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য গোলাম রেজা দুলু, মো. মুছা, মিজানুর রহমান খান, একে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, সিরাজুল ইসলাম, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দের মুক্তি পর দলীয় নেতাকর্মীরা কারাগারের প্রধান ফটকের বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে মিছিল সহকারে নেতৃবৃন্দ অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাস ভবেন যান। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অমিত বলেন, বারবার মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে জনগণের মুক্তির জন্য দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথের চলমান আন্দোলন স্তব্দ করা যাবে না। আমাদের অসংখ্য সহযোদ্ধা খুন, গুমের শিকার। পঙ্গত্ব বরণ করেছেন অনেকে। দলের ৫০ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যায় মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেছেন। কিন্তু আমাদের আন্দোলন স্তব্দ হয়নি।