প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
এবারের আইপিএলে টানা চার ম্যাচ হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ৬ ম্যাচে মাত্র একটি জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা বিরাট কোহলিরা আজ ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে।
ব্যাঙ্গলুরুর বিপক্ষে এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেছে সানরাইজার্সের ব্যাটাররা, ওপেনিংয়ে নেমে ট্রাভিস হেড করেছেন ঝড়ো শতক, এরপর বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন হেইনরিখ ক্লাসেনও। হেডের পর তাঁর ৩১ বলে ৬৭ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের সংগ্রহ গড়েছে প্যাট কামিন্সের দল।
এবারের আইপিএলেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে ২৭৭ রান করে টুর্নামেন্টে সবথেকে বেশি দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল হায়দরাবাদ। নিজেদের গড়া এই রেকর্ডই আজ ভেঙেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। আইপিএলে তো বটেই, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই এটি সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। আর সবধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানের ইনিংস এটি।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরু থেকেই ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন ট্রাভিস হেড। অজি এই ব্যাটার আজ ফিফটি তুলে নিয়েছেন মাত্র ২০ বলে। তাঁর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান তোলে সানরাইজার্স।
অভিষেক শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে এরপর ১০৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন হেড। এরপর ২২ বলে ৩৪ রান করে অভিষেক ফিরলেও আরসিবি বোলারদের বল একের পর এক বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন হেড। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আরেক মারকুটে ব্যাটার ক্লাসেন।
ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে পরে ২৬ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন হেড। এই জুটি গড়ার পথে নিজের ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন তিনি। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করা হেড শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফিরেন ৯ চার এবং ৮ ছয়ে ৪১ বলে ১০২ রান করে। এদিকে হেড ফিরলেও আজ রক্ষা পাননি, পরে তাদের তুলোধুনো করেছেন ক্লাসেন।
হেড ফেরার পর আজ ২৩ বলে নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেন ক্লাসেন। প্রোটিয়া এই মারকুটে ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৩১ বলে ২ চার আর ৭ ছয়ে ৬৭ রান করে। এদিকে দলীয় ২৩১ রানে ক্লাসেন ফেরার পর হায়দরাবাদের হয়ে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করেছেন আরেক প্রোটিয়া ব্যাটার এইডেন মার্করাম এবং আব্দুল সামাদ। রেকর্ড গড়া সংগ্রহের পথে আজ মার্করাম করেছেন ১৭ বলে ৩২ রান।
আর সামাদ খেলেছেন ১০ বলে ৪ চার আর ৩ ছয়ের ৩৭ রানের এক ক্যামিও ইনিংস। ফলে সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের রেকর্ড সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ।