প্রকাশ: রোববার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ৯:৩৬ অপরাহ্ন
ঈদের আমেজের মধ্যেই পহেলা বৈশাখ। এক উৎসববের পরই আরেক উৎসব। এমন উৎসবের দিনে হকি স্টেডিয়ামে ছিল শিরোপার লড়াই। সেই লড়াইয়ে ৩-২ গোলে মোহামেডানকে হারিয়ে লিগ শিরোপা লড়াইটা দারুণ জমিয়ে তুলেছে মেরিনার্স।
মেরিনার্সের সোহানুর রহমান সবুজ হ্যাটট্রিক; মোহামেডানের কোরিয়ান ঝ্যাং ঝং ও রাসেল মাহমুদ জিমি একটি করে গোল করেন। এই জয়ে মোহামেডানের সঙ্গে মেরিনার্সের পয়েন্ট ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র এক। ১৩ খেলায় মোহামেডানের ৩২ আর মেরিনার্সের ৩১।
আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত মোহামেডান ছিল অপরাজিত। আজকের ম্যাচে মেরিনার্সকে হারাতে পারলে শিরোপায় এক হাত থাকত মোহামেডানের। হেরে ঠিক উল্টোটা হয়েছে। পরবর্তী দুই ম্যাচ মোহামেডানকে জিততেই হবে। মোহামেডানের পরবর্তী দুই প্রতিপক্ষ শক্তিশালী আবাহনী ও উষা। সেখানে মেরিনার্সের প্রতিপক্ষ তুলনামুলক দুর্বল অ্যাজাক্স ও পুলিশ। মেরিনার্স পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট হবে ৩৭। মোহামেডান পরের দুই ম্যাচ জিতলে মেরিনার্সকে টপকে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবে।
আজকের ম্যাচের জন্য মোহামেডান এনেছিল কোরিয়ান খেলোয়াড় জ্যাংকে। যিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং দুই বার অলিম্পিক খেলেছেন। তার বিশেষত্ব মূলত পেনাল্টি কর্নার। পেনাল্টি কর্নার থেকে একটি গোল করলেও পরবর্তী দু'টি থেকে অবশ্য ব্যর্থ হয়েছেন।
জ্যাংয়ের ব্যর্থতার দিনে পুরোপুরি সফল মেরিনার্সের সোহানুর রহমান সবুজ। তার হ্যাটট্রিকে মূলত মেরিনার্স মোহামেডানকে বধ করেছে। প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও মেরিনার্স দুর্দান্ত খেলেছে। মেরিনার্সের কোচ মামুনুর রশীদ তার এই সাফল্যের কারণ সম্পর্কে বলেন, 'আমরা পরিকল্পিত খেলাই খেলেছি। এতেই সফল হয়েছি। কখনো খেলা ছাড়িনি।' মোহামেডানের মালয়েশিয়ান কোচ গোপীনাথন অসহায়ত্ব কণ্ঠে বলেন, 'আমরা অনেকগুলো পেনাল্টি কর্নার দিয়েছি এবং বাজেও খেলেছি। পরবর্তী দুই ম্যাচ জেতার জন্য এখন প্রস্তুতি নেব।'
হকি লিগে বড় ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। আজকের ম্যাচেও ব্যতিক্রম হয়নি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা জড়ো হয়েছে বারবার। ম্যাচের এক পর্যায়ে মোহামেডানের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স মাঠে প্রবেশ করেন। সেই সময় উত্তেজনা তৈরি হয় গ্যালারিতেও। দুই দলের সমর্থকরা বাদানুবাদে জড়ায়। গ্যালারিতে পুলিশ ও মাঠে আম্পায়ারদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয়।