প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:২২ অপরাহ্ন
দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরটি। আসন্ন আসরে ২০টি দল অংশ নেবে।
যা টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দলের অংশ গ্রহণ। তবে বিশ্বকাপের আগে ব্যবস্থাপনাজনিত অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখে আছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসএসি)।
যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি) যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের চলমান পরিস্থিতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে বোর্ডটির ওরপ ক্ষুদ্ধ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও।
ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে সামনেই বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট থাকায় আপাতত সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
ইউএসএসির চলমান অস্থিরতার কারণ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মুরাদের অব্যাহতি। অলিম্পিক কমিটি মনে করে, ইউএসএসির বোর্ড পরিচালকেরা বোর্ডের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন। নুর মুরাদকে সরিয়ে দেয়া যার সর্বশেষ নজির। গত ১৫ মার্চ বোর্ড মিটিংয়ের পর আইসিসিও ইউএসএ ক্রিকেটকে শৃঙ্খলা বহালের বিষয়ে কড়া সতর্কতা দিয়েছে।
মুরাদকে প্রধান নির্বাহী হিসেবে আইসিসিই সুপারিশ করেছিল। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাকি থাকতে তাকে সরিয়ে দেয়ায় আইসিসি পুনর্বহাল করতে বলেছিল।
কিন্তু ইউএসএ ক্রিকেটের পরিচালনা পর্ষদ সে নির্দেশনায়ও কর্ণপাত করেনি। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ তাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।
ইউএসএসি পরিচালনা পর্ষদের বিষয়ে একটি সূত্র ক্রিকবাজকে বলেন, ‘তারা মনে করেন, প্রতিদিনের কার্যক্রমে তাদের জড়িত থাকতে হবে। যখন এটা করতে যান, তখন ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ও জড়িয়ে যায়। যে কারণে ক্রিকেট বড় হচ্ছে না।
তারা নির্দিষ্ট একটি পদে নির্বাচিত হতে টাকা খরচ করেন। যে কারণে কার্যক্রমে নাক গলানো নিজেদের অধিকার মনে করেন। তারা বুঝতে চান না বোর্ডের চরিত্র কী হয় আর বোর্ড এবং প্রশাসনের মধ্যে একটা সীমানাও আছে।’