টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী সানা জাভেদের গলায় মালা দিয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক।
সানিয়ার সঙ্গে ডিভোর্সের পরই শোনা যায়, বিয়ের পরও পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন শোয়েব। যেটা মানতে না পেরেই স্বামীকে তালাক দেন এই টেনিস তারকা। এমনকি মালিকের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে অখুশি ছিল তার পরিবারও। কোনোভাবেই সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনে নেয়নি তারা।
এদিকে নতুন বিয়ের মাসখানেক না যেতেই নতুন করে আবারও বিতর্কে জড়িয়েছেন শোয়েব মালিক। সম্প্রতি পাকিস্তানের অভিনেত্রী নাওয়াল সাঈদ রমজানের একটি অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন।
যেখানে তাকে উপস্থাপক জিজ্ঞেস করেন, কখনো কোনো অভিনেতা তাকে পটানোর চেষ্টা করেছেন কি না। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, অভিনেতা নয় বরং ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তিনি বেশি মেসেজ পেয়েছেন।
এরপর উপস্থাপক নাদিয়া তাকে জিজ্ঞেস করেন, সেই খেলোয়াড় পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ কি না? জবাবে নাওয়াল হাসতে শুরু করেন। প্রতিউত্তরে বলেন, মেসেজগুলো শুধু সিঙ্গেল বা অবিবাহিত ক্রিকেটাররাই করেন না।
এটা শুনেই উপস্থাপক শোয়েব মালিকের নাম নেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তাহলে মেসেজ পাঠানো সেই ক্রিকেটারের নাম শোয়েব মালিক? তখনই মুচকি হেসে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এই অভিনেত্রী।
নাওয়াল বলেন, ‘যে কেউ এ জাতীয় মেসেজ পাঠাতেই পারেন। তবে আমি মনে করি, একজন ক্রিকেটারের উচিত নয় এ ধরণের মেসেজ কাউকে পাঠানো। কারণ মানুষ অভিনয়শিল্পীদের তুলনায় ক্রিকেটারদের তাদের আদর্শ মনে করেন।’
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে সেই অনুষ্ঠানের এই অংশটি ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন শোয়েব মালিক। অনেক নেটিজেনেরই মন্তব্য, বিবাহিত সেই ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। কারণ সানিয়া মির্জার সঙ্গে সংসার থাকাকালীন সময়েও অনেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। যেটা জানতে পেরেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন সানিয়া।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল হায়দরাবাদে বিয়ে করেছিলেন সানিয়া এবং শোয়েব। বিয়ের এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তান থেকে বরের বাড়ির লোকেরা চলে এসেছিল ভারতে। সেসময়ই প্রথম স্ত্রীর দাবি নিয়ে হাজির হন আয়েশা। পরে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেখানে আইনি বিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জার গলায় মালা দেন এই তারকা।
এরপর দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসারে বিচ্ছেদ টেনে সম্প্রতি সানা জাভেদকে বিয়ে করেছেন শোয়েব মালিক।