প্রকাশ: বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১:৩৪ অপরাহ্ন
আলমগীর দেশীয় চলচ্চিত্রের সফল নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক। চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এ খ্যাতিমান নায়ক। তার অভিনয়ের শুরুটা কলেজজীবনে নাটক দিয়ে।
১৯৭২ সালের ২৪ জুন প্রয়াত বরেণ্য পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি এই সিনেমা মুক্তির আগেই আলমগীর সিরাজুল ইসলামের ‘দস্যুরানী’ (১৯৭৪), আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’, মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমার কাজ শুরু করেন। সবশেষ এই অভিনেতাকে তার নিজের পরিচালনায় ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় দেখা গেছে।
১৯৭৫ সালে তিনি শাবানার বিপরীতে ‘চাষীর মেয়ে’ ও কবরীর বিপরীতে ‘লাভ ইন শিমলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৮ সালে ‘জিঞ্জির’ চলচ্চিত্রে সেই সময়ের প্রতিষ্ঠিত নায়ক রাজ রাজ্জাক ও সোহেল রানার সঙ্গে অভিনয় করে তিনি এ দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে আরও অধিক পরিচিত হয়ে ওঠেন। ১৯৮৫ সালে আলমগীর প্রথম জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি লাভ করেন। কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ ছবিতে দীপক চৌধুরী চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভের বছরেই ১৯৮৫ সালে ‘নিষ্পাপ’ ছবি দিয়ে আলমগীরের চলচ্চিত্র পরিচালনায়ও অভিষেক হয়।
আলমগীর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনিই বাংলাদেশের নায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চবার এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।