বাংলাদেশি আম্পায়ারদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। প্রথম কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচসহ মোট পাঁচটি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচসহ তিনটি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব ছাড়াও তিনটি ম্যাচে টেলিভিশন আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন তিনি।
সে সব ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সে বিশ্ব ক্রিকেটের নজর কেড়েছেন তিনি। যার কারণে সুযোগ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আম্পায়ারিং করার। সেখানেও সুনাম কুরিয়েছেন তিনি। যার সুবাধে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। আইসিসি এক বার্তায় জানিয়েছে এই খবর।
আইসিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া আমার জন্য খুবই স্পেশাল এবং নায্যতার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় আমি এখন চ্যালেঞ্জটি নিতে প্রস্তুত।’
আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সৈকত আরো বলেন, ‘আমাকে দিকনির্দেশনা ও সাহায্য করার জন্য আইসিসি, বিসিবি ও সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সমর্থনের জন্য আমার পরিবার ও বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানায়।’
আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডিস বলেছেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেয়ায় শরফুদ্দৌলাকে অভিনন্দন। সেই সঙ্গে এই প্যানেলে নির্বাচিত হওয়া বাংলাদেশ থেকে প্রথম আম্পায়ারও তিনিই। এটা তার আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং আইসিসি টুর্নামেন্টে বহু বছর ধরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার।’
সৈকতের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৬ সাল থেকে। এরপর এখন পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে ও ৪৪ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশি এই আম্পায়ার। সর্বশেষ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেল অফ আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (বাংলাদেশ), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া) এবং জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেল অফ ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) এবং জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।