প্রকাশ: রোববার, ২৪ মার্চ, ২০২৪, ৩:০২ অপরাহ্ন
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৩ মে ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর খালা নাহিদ আক্তার গত ২ নভেম্বর রাতে জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। গত ৬ মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত করেন এবং মাঝে মধ্যে বাসায় রাত্রীযাপন করতেন। ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক করেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়।
২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিংবেল দিলে মিহির বাসার মেইন দরজা খুলে দিলে রুফি বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। মিহির তাঁর রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তখন মিহির তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান।
ওই সময় হিমু রুমের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মিহির সাথে সাথে হিমুর রুমে প্রবেশ করে তাঁকে গলায় রশি লাগানো ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পান। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তাঁরা দুজন হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান।
হিমু আসামির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক দেন। ওই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হলে রুফি হিমুকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে বাথ রুমে প্রবেশ করেন। হিমু ইংরেজি বিকেল ৩টার পর থেকে ৫টা আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় রাগে ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন নাহিদ আক্তার।