মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার গ্রহণে যেতে পারছেন না শবনম
আনোয়ার আরমান:
প্রকাশ: রোববার, ১৭ মার্চ, ২০২৪, ১:৪৯ পূর্বাহ্ন

বড় পর্দায় বড় আয়োজনে নিজেকে মেলে ধরেতে ঢাকার মেয়ে শবনম গিয়েছিলেন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। এরপর একের পর এক কাজ দিয়ে তাক লাগিয়ে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। দেশটির ইন্ডাস্ট্রির চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন ঢাকায় জন্ম নেওয়া শবনম। 

তার ওপর প্রচুর লগ্নি থাকায় দেশের মাটিতে ফিরতে পারেন এমন আশংকায় কঠিন নজরদারিতে রাখা হয় ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। অতপর জন্মভূমিতে ফেরেন। এরপর আশা যাওয়ার মধ্যেই থেকেছেন শবনম। ততোদিনে পাকিস্তানের ইন্ডাস্ট্রি শবনম নির্ভরতায় আচ্ছন্ন। ১৩টি নিগার আর ৩টি জাতীয় পুরস্কারও শবনমকে পাকিস্তানে স্থায়ী হতে উৎসাহী করেনি। তিনি ফিরেছেন আপন ভূমিতে। 

তিনি বলেন, আমি কাজ করতে পূর্ব থেকে পশ্চিমে গিয়েছিলাম। সেটা করেছি। কাজ শেষ নিজের জন্মস্থানে ফিরেছি। ওখানে যতদিন ছিলাম ততোদিন, এখানকার মতো মাছ, শাক, শুঁটকি খেতে পারিনি। এখন পারছি। এই যে পারছি এটার জন্যই ফিরেছি। 

অবশ্য তিনি ফিরলেও তাকে ভুলে যায়নি পাকিস্তান। তারা বিভিন্ন উৎসব পার্বনে শবনমকে স্মরণ করে। এরমধ্যে পিটিভি ও লাক্স লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারও তিনি ঝুলিতে পুড়েছেন। 

প্রধান অতিথি হয়ে আমন্ত্রিত ছিলেন করাচি লিটারেচার উৎসবেও। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাকিস্তান সরকার সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ-এ তার নাম ঘোষণা করে। আগামী ২৩ মার্চ রাজধানী ইসলামাবাদ প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু অজানা কারণে কালক্ষেপণ হওয়ায় শবনমের পাকিস্তান যাওয়া প্রায় অনিশ্চিত। 

এ নিয়ে শবনম আক্ষেপ করে বলেন, দেশের মাটিতে সম্মান পাই না পাই কাজ শেষে দেশেই ফিরেছি। আমি কোনো গাদ্দার ছিলাম না, কেউ বলতে পারবে না দেশের বদনাম করেছি কোথাও। যেখানে কাজ করেছি তারা আমাকে ভালোবেসে একটা বড় পুরস্কারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এটা গ্রহণে অনুমতির অভাবে যেতে পারবো না, ভাবতেই মনটা খারাপ লাগছে। 

তাছাড়া পুরস্কারটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিজেও অবগত বলে পাকিস্তান দূতাবাস আমাকে জানিয়েছেন। এ খবরে তিনি বেশ খুশিও হয়েছিলেন বলে শুনেছি। তারপরও কেন আমার সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে আমি জানি না- যোগ করেন শবনম।

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার কাছে ফোন দিয়েও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আর যে কারণে ধরে নেওয়া যায় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার গ্রহণে শবনম যেতে পারছেন না।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft