প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:৪৯ অপরাহ্ন
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আজ শুক্রবার সকালে বইমেলার দুয়ার খোলার আগেই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের আনাগোনাও।
মেলায় কেউ সপরিবারে, কেউ বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে এসেছেন। অধিকাংশ নারীকে হলুদ শাড়ি, খোঁপায় ফুল ও মাথায় ফুলের মালা পরতে দেখা গেছে। ছেলেদের অনেকেই পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে এসেছেন। তারা বইয়ের স্টলগুলোতে ভিড় করছেন। পছন্দের লেখকের বই কিনছেন। তবে, বই কেনার চেয়ে অধিকাংশ যুবক-যুবতী ঘুরতে এসেছেন।
যাত্রাবাড়ী থেকে আসা তোফায়েল জানান, এ বছর আজই মেলায় এসেছি। বন্ধুরা মিলে আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম আজকে মেলায় ঘুরতে যাবো।
চাকরিজীবী মেশকাত বলেন, ছুুটির দিনে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছি। আমার তেমন একটা বই পড়া হয় না। আমার স্ত্রী ও সন্তানদের বই পড়ার নেশায় আমাকে মেলায় নিয়ে এসেছে। তারা তাদের পছন্দের লেখকের বই দেখছে এবং কিনছে।
স্টল মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মেলায় মানুষের ভিড় ছিল। মেলা জমে উঠলেও বিক্রি কম ছিল। অধিকাংশই ঘুরতে আসছেন। তবে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মানুষের আরও ভিড় হবে। তখন বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করছি। তখন ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। যারা বই কিনবে তারাই মূলত মেলায় আসবে।
এদিকে, বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ৩০০ ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন মেলা সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।