প্রকাশ: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:৩৬ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে প্রথম দিনের রানের ফোয়ারা দেখা দিয়েছে দ্বিতীয় দিনের ম্যাচেও। সুপার ফোরের দৌড়ে টিকে থাকতে ঢাকার বিপক্ষে আজ ম্যাচটি বরিশালের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমন ম্যাচে ব্যাটিং স্বর্গে নিজের ক্যারিশমাটিক শো দেখাতে ভুল করেননি তামিম ইকবাল।
৭১ রানের ইনিংসে দলকে টেনে নিয়ে যান দারুণভাবে। এরপর শেষবেলায় সাইফউদ্দিনের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। তাতে ২৭ রানের জয় পায় তামিমের দল।
১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাজে শুরু করে ঢাকা। দলীয় ১০ রানের মাথায় নাঈম শেখের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। চার বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর দলীয় ১৪ রানের মাথায় অ্যাডাম রসিংটোনের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ঢাকা। দুই বলে চার করেন এই ব্যাটার। এরপর আর কোনো ব্যাটারই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
নিয়মিতি বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে দলটি। শেষদিকে অ্যালেক্স রসের দারুণ ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ঢাকা। তবে সেটা কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। তাতে ২৭ রানের জয় পায় তামিমের দল।
টসে জিতে বরিশালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও পাকিস্তান তারকা আহমেদ শেহজাদ। এ দুই জুটিতে দারুন সূচনা এনে দেন বরিশালকে। ব্যাক্তিগত ২৪ রানে শেহজাদ ফিরলে ভাঙে ৭৬ রানের জুটি।
এরপর সৌম্য সরকার ২৮ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলের মাঝে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে ৩৪ বলে অর্ধশতকে পৌঁছান তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৭১ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
শেষদিকে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন বরিশালের ব্যাটাররা। মুশফিক ও মিরাজও ফেরেন অল্প রানে। তবে সাইফউদ্দিন নেমে ঝড় তোলেন ঢাকার বোলারদের ওপর। মাত্র ৬ বল খেলার সুযোগ পাওয়া সাইফউদ্দিন ছিলেন ২৩ রানে অপরাজিত। যেখানে দুইটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
এছাড়া ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের সংগ্রহ পায় তামিমের দল। ঢাকার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ আলাউদ্দিন বাবু নেন তিনটি উইকেট।