প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
চলমান বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই দুর্দান্ত ঢাকার কাছে হার দেখেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর ঢাকা হেরেছে টানা ৬ ম্যাচ। হারের মিছিল ভাঙতে আগে কুমিল্লার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরও গড়েছিল ঢাকা। তবে তাওহিদ হৃদয়ের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে এবার পাত্তা পায়নি তাসকিন-শরিফুলরা।
একা হাতে লড়াই চালিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হৃদয়। ৩২ বলে ফিফটি ছুঁয়ে সেটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করলেন ৫৩ বলে, যা এবারের বিপিএলের প্রথম। আর পুরো বিপিএল ইতিহাসে ৬ষ্ঠ বাংলাদেশি হিসাবে সেঞ্চুরি পেলেন হৃদয়। এতে ১ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৩ রানে চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে (১৪) হারায় ঢাকা। এরপর নাঈম শেখ আর সাইফ হাসানের দারুণ এক জুটিতে বড় এক সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা। দ্বিতীয় উইকেটে নাইম আর সাইফ ৭৮ বলে যোগ করেন ১১৯ রান। দুজনই করেন ফিফটি। নাইম ৪৫ বলে ৬৪ করেন ৯ চার আর ১ ছক্কায়। সাইফের ৪২ বলে ৫৭
রানের ইনিংসটিতে ছিল ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কার মার। ১৭ ওভারে ম্যাথু ফোর্ডের তোপে ঢাকার রানের চাকায় লাগাম টানে। শেষদিকে অ্যালেক্স রসের ১১ বলে করেন অপরাজিত ২১ ও মেহরবের ৮ বলে ১১ রানে বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা।
কুমিল্লার ম্যাথু ফোর্ড ৩৫ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। আলিস আল ইসলাম ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান দুই ওভারেই ৩৩ রান খরচ করেন।
১৭৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি ৮ রানে থাকা লিটন। এরপর রান আউটে কাঁটা পড়েন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকসও। ৫ বলে তিনি করেন ৯ রান। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। ৩ বলে ১ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে ডেভিড গেস্টকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লার হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয়। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছুটতে থাকে কুমিল্লা। ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। এরপর ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ৩৫ বলে ৩৪ রান করে গেস্ট আউট হলে রানের গতি কিছুটা থেকে যায় কুমিল্লার। রায়মোন রাইফার ৬ করে রান আউট হলেও, এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের গতি বাড়াতে থাকেন হৃদয়। শেষ তিন ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান।
এরপর শরিফুলের ওভারে ১৫ রান নিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেন হৃদয়। সেই সঙ্গে ৫৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই টাইগার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তার ৫৭ বলে হার নামা ১০৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়াও আরাফাত সানি ও ডি সিলভা একটি করে উইকেট নেন।