প্রকাশ: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
চলমান বিপিএলে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানির দুই দল হিসেবে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয় পায় সিলেট।
ঢাকার দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট। দলীয় ১৭ রানে মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে বসে চায়ের দেশটি। ২ বলে শূন্য রান করে সামিত প্যাটেল এবং ৯ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন হ্যারি টেক্টর। এরপর তিনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হাসান শান্ত দলের হাল ধরেন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে সিলেট শিবিরে হাল ধরেন নাজমুল হাসান শান্ত। এদিকে দলীয় ৪১ রানে জাকির হাসান ৮ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক মিথুন সঙ্গ দেন শান্তকে। তবে উকেটে থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি সিলেট দলপতি। ১২ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
এরপর দ্রুত ফেরেন শান্তও। ২৫ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও বেনি হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ৫৫ রানের অবিচ্ছেদ্য ও মহাগুরুত্বপূর্ণ জুটিতে ৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন বার্ল ও হাওয়েল। ঢাকার হয়ে শরিফুল নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। বল হাতে প্রথম ওভারেই সাফল্যের দেখা পান নাঈম হাসান। তার বলে মাত্র ৪ রানে আউট হন সাব্বির হোসেন। শুরুর ধাক্কা সামলে নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। দুজনে মিলে গড়েন ৭৮ রানের জুটি।
ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটিকে ভাঙেন বেনি হাওয়েল। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪১ রান করেন সাইফ। সাইফ আউট হওয়ার পর আর কেউই বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। নাঈম করেন দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান। এছাড়া সাইম আইয়ুব করেন ১০ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।