আদালতকে জানিয়ে বিদেশ যেতে হবে ড. ইউনূসকে
প্রকাশ: সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮:০৪ অপরাহ্ন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিত করা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তবে তাঁরা জামিনে থাকবেন এবং তাঁদের সাজা (কারাদণ্ড ও জরিমানা) স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত থাকবে। আর ড. ইউনূসসহ দণ্ডিত চারজনকে বিদেশ যেতে হলে আদালতকে জানিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আবেদনে শুনানির পর সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া দণ্ড স্থগিত করে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘ফৌজদারি মামলার রায়ের দুটি অংশ। একটি হচ্ছে (দণ্ড) কনভিকশন, আরেকটি হচ্ছে সেনটেনসড (সাজা)। রায়ের দণ্ড কখনো স্থগিত করা যায় না। এ নিয়ে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আছে।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গত ২৮ জানুয়ারি তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া পুরো রায়টি স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন। এই পুরো স্থগিতাদেশের মধ্যে আমরা কেবল দণ্ড স্থগিত করাটা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। হাইকোর্ট দণ্ড স্থগিত অংশের আদেশ স্থগিত করেছেন। ফলে ড. ইউনূসসহ চারজন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় এখন দণ্ডিত। হাইকোর্ট আপিলটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬(১) অনুসারে ফৌজদারি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত থাকে। হাইকোর্ট বলেছেন এর জন্য আলাদা আদেশের প্রয়োজন নেই। এটি স্থগিতই থাকবে।’
ড. ইউনূসের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে এ আইনজীবী বলেন, ‘এখন থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আপিলকারীকে বিদেশে যেতে হলে আইনজীবীর মাধ্যমে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে।’