প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ১:৪৫ অপরাহ্ন
সকালের নাশতায় কেউ পছন্দ করেন ওটস কিংবা সিরিয়াল আবার কেউ খায় কেউ খায় গরম–গরম রুটি। কিন্তু সময়ের অভাবে অনেক সময় দেখা যায়, সকাল সকাল নাশতায় রুটি বানানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ জন্য ফ্রিজে রাখা রুটি দিয়েই সারতে হয় ব্রেকফাস্ট।
তবে মজার ব্যাপার হলো অন্যান্য বাসি খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হলেও বাসি রুটি স্বাস্থ্যকর তো বটেই, বরং পুষ্টির দিক দিয়েও বাকি খাবারের থেকে এগিয়ে। কি শুনতে অবাক লাগছে?
চলুন তাহলে জেনে নেই বাসি রুটির উপকারিতা-
গরম-গরম রুটির তুলনায় বাসি রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলক কম থাকে। বাসি রুটি সাধারণত আগের দিন ভাজা হয়ে থাকে, যা ফ্রিজের তাপমাত্রায় ঠান্ডা হয়ে যায়। খাওয়ার আগে পুনরায় তা গরম করা হয়। সব মিলিয়ে ঠান্ডা-গরমের মিশ্রণে রুটির কার্বোহাইড্রেটের গঠন বদলে যায়। যা চিনিতে পরিণত হতে বেশি সময় লাগে। ফলে সকালবেলা হুট করে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় না। এ জন্য সকাল সকাল কাজে গিয়ে দ্রুত মনোযোগ বসানো সম্ভব হয়।
সারা রাত ঠান্ডা হওয়ার পর পুনরায় গরম করা রুটিতে কার্বোহাইড্রেট ভেঙে যায়। ফলে সহজে হজম করা সম্ভব হয়। এ ছাড়া বাসি রুটি পাকস্থলীর ওপরও চাপ কম ফেলে।
সারা রাত ধরে বাসি রুটিতে জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া। তবে রুটিতে জন্ম নেওয়া এই ব্যাকটেরিয়া কিন্তু খারাপ ব্যাকটেরিয়া নয়। বরং গাঁজন (ফার্মেন্টেশন) প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া এই ব্যাকটেরিয়া মাইক্রো অর্গানিজম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীতে গিয়ে হজমে সাহায্য করে।
ভাবতে পারেন, বাসি রুটি যখন এত কিছু করছে, তখন নিশ্চয়ই পুষ্টিগুণে কোনো হেরফের আছে? মজার ব্যাপার হলো ধোঁয়া ওঠা গরম রুটিতে যে পুষ্টি রয়েছে, বাসি রুটিতেও প্রায় একই পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। সামান্য দুই–একটা ভিটামিনের পুষ্টিগুণ এদিক–সেদিক হলেও বাকি সব প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন, আয়রন, ফাইবারের পরিমাণ একই থাকে।
শীতের সকালে উঠেই নাশতা বানানোর মতো বিরক্তিকর কাজ আর কী-ই বা হতে পারে? সেখানে বাসি রুটিই হতে পারে সুন্দর একটি সমাধান। তার মানে এই নয়, নিজের সময় ও পকেট বাঁচাতে দুই তিন দিন আগের রুটি খেয়ে সকালের নাশতা শেষ করবেন। রুটি হতে পারে সর্বোচ্চ এক দিনের বাসি। হয় আগের দিন সকালে বানানো অথবা আগের রাতে বানানো। এক দিনের বেশি পুরোনো রুটি আপনার স্বাস্থ্যের উপকারের বদলে ক্ষতিই করবে।