প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ন
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ শুক্রবার। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলীর নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এ উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বাণী দেওয়া হয়েছে। রসায়নবিদ মনসুর রহমান ও জাহানারা খাতুন দম্পতির পাঁচ ছেলের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর ডাকনাম কমল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার শিকার হন। এরপর ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১১টায় শেরেবাংলানগরে তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ। একই দিন নয়াপল্টনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এবং আগামীকাল বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকে জিয়াউর রহমানের ওপর ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের তাদের আন্দোলন চলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
মঈন খান বলেন, নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নিরস্ত্র জনসাধারণ রাজপথে থেকে বন্দুক-বুলেট মোকাবেলা করে এই সরকারকে পরাজিত করা হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।