প্রকাশ: বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:০৩ অপরাহ্ন
২০২৩ সালে দারুণ বছর পার করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠে ভারত ও পাকিস্তানকে হারানো ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ইতিহাস গড়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। টাইগ্রেসদের এমন সাফল্যে বড় ভূমিকা ছিল তরুণ পেসার মারুফা আক্তারের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অভিষেকের পর থেকেই দলের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছেন তিনি।
দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরুপ এবার আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান নারী ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিলেন টাইগ্রেস এই পেসার। মারুফা ছাড়াও তালিকায় আছেন আরও তিন জন। তারা হলেন- অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ফোবে লিচফিল্ড, ইংল্যান্ডের পেসার লরেন বেল এবং স্কটল্যান্ডের অলরাউন্ডার ডার্সি কার্টার।
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন মারুফা আক্তার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় দলে অভিষেকের পর গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলতে নেমেছিলেন মারুফা। সেবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আলাদাভাবে নজর কাড়েন তিনি।
ডানহাতি এই পেসার নিজের মাত্র তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেই আগুনে পারফরম্যান্স উপহার দেন। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরপর দুই বলে ২ উইকেটসহ মাত্র ২৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। এরপর শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও নিজের সামর্থ্যের জানান দেন মারুফা।
গেল বছরের জুলাইয়ে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজেও তার বলের তোপ দেখেছে সফরকারী ব্যাটাররা। প্রথম ওয়ানডেতে চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে এই পেসার বড় ভূমিকা রাখেন। ভারতের তারকা ব্যাটার স্মৃতি মান্দানার কণ্ঠেও তখন মারুফাকে নিয়ে স্তুতি শোনা গিয়েছিল।
এরপর বাংলাদেশ-ভারতের সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতেও দুই উইকেট নিয়েছিলেন মারুফা। শেষ ওভারে যখন ভারতের জয়ের জন্য মাত্র ৩ রান দরকার, তখন নিজের জাত ভালোভাবেই বুঝিয়েছেন তিনি। দুই রান দেওয়ার পর তৃতীয় বলে ভারতীয় ইনিংসের সর্বশেষ উইকেটটি তুলে নেন। এর মাধ্যমে ড্র নিয়ে সমাপ্ত হয়। সিরিজটিও শেষ হয় সমতায়।
ভারতের পর পাকিস্তান সিরিজ এবং বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও বল হাতে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন মারুফা। বিদায়ী বছরে ওয়ানডেতে ৯ এবং টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেট পেয়েছেন একসময় বাবার সঙ্গে জমিতে চাষাবাদ করা মারুফা।