প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩, ৫:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩, ৫:৫৯ অপরাহ্ন

রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেন জানান, স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হওয়া ভালো নয়, এটি একটি বহুল প্রচলিত গুজব। এর কোনো সত্যতা নেই। স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কোনো সমস্যা নেই। তবে স্ত্রী নেগেটিভ আর স্বামী পজিটিভ হলে এবং সন্তান পিতার গ্রুপ পেলে নবজাতকের জন্ডিস সহ কিছু জটিলতা হতে পারে, তবে তা আগে থেকে জানা থাকলে ব্যবস্থা নেয়া যায়।
রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৭ গ্রাম/ ডেলির নিচে নামলে তবেই রক্ত পরিসঞ্চালন করা যেতে পারে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে শরীরে বিশেষ কিছু উপসর্গ দেখা দিলে (যেমন অতিরিক্ত দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি) বা চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে ৮ বা ৯ গ্রাম/ ডেলি হলেও রক্ত দেওয়া যেতে পারে। রক্তশূন্যতার মূল চিকিৎসা রক্ত দেওয়া নয়, বরং কারণ খুঁজে বের করে তার সমাধান করা।
রক্তের গ্রুপ নির্ভর করে দু্টই ফ্যাক্টরের ওপর। একটি হলো ABO ফ্যাক্টর, আরেকটি হচ্ছে জয ফ্যাক্টর। এদের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের রক্তের গ্রুপ নির্ধারিত হয়। ABO ফ্যাক্টরের জন্য আমাদের রক্তের গ্রুপ A, B, AB, O এরকম হয়। অন্যদিকে জয ফ্যাক্টরের জন্য নেগেটিভ বা পজিটিভ হয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই রক্তের গ্রুপ এক হলে বাচ্চার ওপর এর কম প্রভাবই পড়বে না। অর্থাৎ, বাচ্চার কোনো ধরনের ক্ষতি কিংবা ঝুঁকির আশঙ্কা নেই।
মায়ের যদি নেগেটিভ (ধরে নেই A negative বা অন্য যে কোনো নেগেটিভ) রক্তের গ্রুপ হয়, আর বাবার যদি পজিটিভ (A positive অথবা অন্য যে কোনো পজিটিভ) হয়, সেই ক্ষেত্রে সন্তান কনসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে জানিয়ে রাখতে হবে বিষয়টি। কারণ, এ ক্ষেত্রে নেগেটিভ পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের কারণে বাচ্চার ওপর একটি খারাপ প্রভাব পড়ে।
এই ক্ষেত্রও ভয়ের খুব বেশি কারণ নেই। কারণ, এর ক্ষতিকর প্রভাবে বাধা দেয়ার জন্য একটি ইনজেকশন যেটি ডেলিভারির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হয়। মিসক্যারিজ কিংবা গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হলেও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ইনজেকশন নিলে ওই প্রেগনেন্সিতে কিংবা পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে বাচ্চার ওপর আর কোনো খারাপ প্রভাব পড়বে না।
জ/আ