প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩, ৫:৩১ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় হাসি-কান্নায় শেষ হয়েছে দীর্ঘ ১৮ দিনের প্রতীক্ষা। যদিও চাকরি প্রত্যাশী ৭৩৫ জন প্রার্থী ও তাদের স্বজনদের সবার চোখেই ছিল অশ্রু, এর বেশির ভাগটাই ছিল বেদনার। এরমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২২৭ জনের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯১ প্রার্থীর চোখে ছিল প্রত্যাশিত আনন্দের কান্না।
গত ১৬ মার্চ দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্স চত্ত্বরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন। এসময় সেখানে আবেগঘন এ দৃশের অবতারণা হয়।
একপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো উত্তীর্ণরা যখন মোবাইল ফোনে কেঁদে তাদের স্বজনদের সু-খবর দিচ্ছিল, তখন অন্যপাশে মাঠে বসা চাকরি প্রত্যাশীদের বড় একটি অংশ নির্বাক নয়নে কাঁদছে। মাত্র ১২০ টাকায় চাকরি পাওয়া সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন গাইবান্ধা সদরের পর্বকমরনই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আনিকা খাতুন।
তিনি বলেন, তার বাবা একজন ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ী। কোনোদিন ভাবিনি ঘুষ ছাড়া সরকারি চাকরি হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাহাবাজ গ্রামের মারুফ প্রামাণিক বলেন, আমার বাবা শুক্কুর আলী পেশায় একজন দিনমজুর। একজন দিনমজুরে ছেলে সরকারি চাকরি পাবে, এটা স্বপ্নেরও ভাবিনি। একথা বলেই তিনি কেঁদে ফেলেন।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার বড় জামালপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে জুথি খাতুনসহ অনেকেই। পুলিশ সুপার উত্তীর্ণ সবার হাতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
সেইসঙ্গে যারা চাকরি পেলেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুঃখ-হতাশার কিছু নেই। শীঘ্রই পুলিশ লাইন চত্ত্বরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে।
জ/আ