শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
 

জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা    মেসিকে নিয়ে দুঃসংবাদ আর্জেন্টিনার!     আইন মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানোর নির্দেশ    ১০ রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়    রমজানে স্কুল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ চেম্বারেও বহাল    বিএসএমএমইউর উপাচার্য পদে নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ    বীরত্ব ও সাহসিকতায় পদক পেলেন ৪০ কোস্ট গার্ড সদস্য   
মুরাদ হাসান কার এজেন্ট?
প্রকাশ: রোববার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন

কথাগুলো অনেকের কাছে খাপছাড়া মনে হতে পারে। তবুও কিছু সমীকরণ মেলাব। ডা. মুরাদ হাসানের গত কয়েক মাসের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে কিছু বিষয় পরিষ্কার হওয়া যাবে।

তিনি রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন। তার এই বক্তব্যের সাথে আমার মতো অসাম্প্রদায়িক চেতনার অনেকেই একমত। তবুও এই সময়ে, কোনো ইস্যু ছাড়া হঠাৎ করে তার এই বক্তব্য দেওয়ার কারণ কী? যখন দেশে জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন চলছে। এইখানে তিনি মোল্লাদের খেপিয়েছেন।

বেগম জিয়ার পর বিএনপির নেতৃত্বে কে আসবেন—এটা এখন খুবই আলোচিত বিষয়। দলের একটি গ্ৰুপ ছাড়া পুরা জাতির কাছেই তারেক রহমান চরম বিতর্কিত ব্যক্তি। কর্মকাণ্ডে তার আর মুরাদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। ভাবা হচ্ছিল, তারেক রহমানের বৌ ডা. জুবাইদা রহমান হয়তো বিএনপির হাল ধরবেন। কিন্তু তিনিও অনিচ্ছুক। সেই জন্যই কি চরম অশ্লীল মন্তব্য করে জাইমা রহমানকে লাইমলাইটে নিয়ে আসার চেষ্টা? তার প্রতি নারীদের সহানুভূতি তৈরি করা? এইখানে তিনি বিএনপি এবং নারীদেরকে বিক্ষুব্ধ করেছেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। ছাত্রী হলের মেয়েদেরকে নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা পড়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেপলে কী হয় তা মুরাদ হাসান খুব ভালো করেই জানেন। আর এর সাথে যদি মেয়েরা মাঠে নামে তো কথাই নেই। এইখানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেপিয়েছেন।



এরপর তিনি হয়তো সিরিয়ালি হাইকোর্ট তথা আইনজীবী এবং প্রেসক্লাব তথা সাংবাদিকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতেন। এই সকল গোষ্ঠীকে বিক্ষুব্ধ করতে পারলে সরকারের পতন ঘটাতে আর কিছু লাগে না।

একজন চলচ্চিত্র নায়িকার সাথে চরম আপত্তিকর কথাগুলো তিনি বলেছেন দুই বছর আগে। দুইপক্ষের কেউই এটা রেকর্ড করে অনলাইনে ছাড়েননি। তাহলে কীভাবে বাইরে আসলো? একটু মাথা খাটান। উত্তর পেয়ে যাবেন। সরকারের আরও সর্বনাশ করার আগেই ধরা খেয়েছেন। সরকারকে বিনাশ করতে গিয়ে নিজেই বিনাশ হয়ে গেছেন। কপালে হয়তো আরও শনি আছে।

মনে রাখা দরকার, ডা. মুরাদ একসময়ের ছাত্রদল নেতা। কিন্তু তার বাবা মতিউর রহমান তালুকদার বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করেছেন। ওই পরিবারের সন্তান হয়ে মুরাদের রাজনীতি শুরু ছাত্রদল দিয়ে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে হয়তো তিনি এখন বিএনপির রাজনীতিই করতেন।

আশরাফুল আলম খোকন ।। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft