প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৬ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে ১হাজার বাধাঁকপির গাছ কেটে ফেলেছে আল আমিন। পূর্বশত্রুতার জেরে উপজেলার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রামপাশা বিলেরপার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত সাজিদ মিয়া (৬২) বাদী হয়ে আল আমিন মিয়া (৩৫) নামে কমলগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযুক্ত আল-আমিন সদর ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মো. ইসমাইল মিয়া ছেলে।
সাজিদ মিয়ার করা থানার অভিযোগ সূত্রে ও সড়জমিন গেলে জানা যায়, প্রতিবেশী ইসমাইল মিয়ার কাছ থেকে ১৫ শতক ভূমি বর্গা নিয়ে প্রায় ১৬ বছর যাবত বিভিন্ন প্রজাতির ফসল চাষ করে আসছেন সাজিদ মিয়া। ভূমির মালিক মো. ইসমাইল মিয়া ছেলে আল-আমিন এর সাথে এই জমি বর্গা দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ সৃষ্টি হয়ে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে আল আমিন বর্গাকৃত ফসলী জমিতে রোপনকৃত প্রায় এক হাজার বাদাকপি গাছ ধারালো দা দিয়ে কেটে ফেলে। এতে করে সাজিদ মিয়ার প্রায় ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাছ কাটার সময় সাজিদ মিয়ার ছেলে লিয়াকত মিয়া বাধা দিলে আল আমিন মিয়া উত্তেজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতির হুমকি প্রদর্শন করে ফসলী জমি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল জানান, আল আমিন খুব খারাপ কাজ করেছে। এটার যেন সুষ্ঠ বিচার হয়।
অভিযোগকারী কৃষক সাজিদ মিয়া বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত রামপুর এলাকার মো. ইসমাইল মিয়ার জমি বর্গা চাষ করে আসছি। কোনো দিন আমার সাথে ইসমাইল মিয়ার সমস্যা তৈরী হয়নি। কিন্তু জায়গা চাষ করার পর থেকে ইসমাইল মিয়ার ছেলের সাথে আমার সমস্যা হয়ে আসছে। আমি জায়গায় ফসল চাষ করে যা আয় হয় তার ৩ ভাগের ১ ভাগ ইসমাইল মিয়াকে দিয়ে আসছি। কিন্তু ইসমাইল মিয়ার ছেলে আল আমিন আমার কাছে টাকা দাবী করে। আমি বললাম তোমার বাবাকে তো দিয়ে আসছি, তুমাকে কেন দিব? এটা বলার পর আমার ফলানো কৃষি জমিতে গিয়ে পুরো ১৫ শতাংশ জায়ার বাধাঁকপির গাছ কেটে ফেলে আল আমিন। আমি খুবই গরীব মানুষ এগুলো চাষ করে আমার ৭ সদস্যের পরিবার চলে। আমি এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অভিযুক্ত আল আমিন এর পিতা মো. ইসমাইল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমার ছেলে যা করেছে তা অন্যায় করেছে। আমি অভিযোগকারী কৃষক সাজিদ মিয়ার সাথে থানায় এসেছি আমার ছেলের বিচার দেওয়ার জন্য। আমি এটার সুষ্ট বিচার দাবী করছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল আমিন এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গেলেও পাওয়া যায়নি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, ‘থানায় অভিযোগ করেছেন কৃষক সাজিদ মিয়া। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’