
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলের রায়ের জন্য আগামী ১১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নুরুল হক নুর হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
এদিন নূরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির শুরুতেই নুরের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বলেন, নুরের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আদালত নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি আরও সচেতন থাকবেন এবং আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে রাজধানীতে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন নুরুল হক নুর। এরপর নুরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ প্রধান বিচারপতি কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে নুরকে তলব করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এদিন চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
কোটা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা
এদিন শুনানির সময় বিচারপতি নুরুল হক নুরকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি ২৮ অক্টোবরের আগে বক্তব্য দিয়েছেন, না এরপর বক্তব্য দিয়েছেন। নুর বলেন- না এর পরে বক্তব্য দিয়েছি। তখন আদালত বলেন, একজন সচেতন রাজনীতিবিদ হিসেবে এ রকম বক্তব্য দেওয়ার পর দিন গণমাধ্যমে সংশোধনী কেন দিলেন না।
নুরুল হক বলেন, আমি ওই দিন জ্ঞাতসারে বক্তব্য দেইনি। আমার বক্তব্যের জন্য আমি অনুতপ্ত। গণতান্ত্রিক দেশে আইন-আদালত থাকতে হবে। আর আদালতের প্রতি আমার সব সময় শ্রদ্ধা আছে এবং তা ভবিষ্যতেও থাকবে।