প্রকাশ: রোববার, ৯ জুন, ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন

নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৬ শতাংশের ঘরে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার থাকলেও এই লক্ষ্য অর্জনে প্রকৃত অর্থে সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি। বিনিয়োগ আর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যও বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন কঠিন হবে। এ ছাড়া কর প্রশাসনে সুশাসন ও দক্ষতার অভাব রয়েছে। যে কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কর আহরণ করতে পারছে না।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ঢাকায় এফডিসিতে গতকাল শনিবার (৮ জুন) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে তথ্য দিয়ে থাকে সেটি সঠিক নয়। তথ্য গোপন করার কৌশল সুশাসনের অন্তরায়। বাজেট অর্থায়নে দেশীয় ব্যাংকের ওপর অতিমাত্রায় ঋণনির্ভর হলে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ব্যাহত হবে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুতের যে পরিস্থিতি, তা নিয়েও চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশে যত কর শনাক্তরণ নম্বর বা টিআইএনধারী আছে, তাদের অর্ধেকও আয়কর রিটার্ন দাখিল করে না। এ নিয়ে এনবিআর অনুসন্ধান করতে পারে। বর্তমানে যে পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ রয়েছে, তা পরিশোধে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তিনি বলেন, আঞ্চলিক বৈষম্যের পাশাপাশি শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বৈষম্য বাড়ছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী নির্ধারণে রাজনৈতিক বিবেচনা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের কর্তৃত্বের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ কর্মসূচির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।