প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ১:২৮ অপরাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে অস্তিত্বহীন বাস টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার দরপত্র ডেকেছে জেলা পরিষদ। আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) এই দরপত্র খোলা হবে।
গত রোববার (১২ মে) জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এই ইজারার দরপত্র বাতিল করতে আবেদন করেছেন শাহ আলম নামে এক শিডিউল ক্রয়কারী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে জেলার বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ বাস টার্মিনালের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্যে ইজারা আহবান করে। ৫টি ধাপে দরপত্র দাখিলের আহবান করা হয়। আগামী ১৪ মে দুপুর এক্টায় প্রথম ধাপে দরপত্র দাখিলের শেষ সময়। রোববার এই দরপত্র বাতিলের জন্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন শাহ আলম নামে এক শিডিউল ক্রয়কারী।
শাহ আলম লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, ইজারা দরপত্রে উল্লিখিত সাতবর্গ বাস টার্মিনাল স্থলে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে যে, সেখানে কোন বাস টার্মিনালের অস্তিত্ব নেই। দরপত্রে উল্লিখিত স্থানটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ভূমি হিসেবে বাস টার্মিনাল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে যা খালি জায়গা হিসাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দখলে আছে। সেহেতু প্রতীয়মান হয়েছে যে, বাস টার্মিনাল হিসেবে আহবানকৃত দরপত্র বিজ্ঞপ্তিটি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আহ্বান করা হয়েছে, যাহার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। আহ্বানকৃত বাস্তবতা বিবর্জিত ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তির ইজারা কার্যক্রম বাতিল করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।
সরেজমিনে সাতবর্গ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে টার্মিনালের কোন অস্তিত্ব নেই। সেখানে অবৈধ ভাবে দোকান তুলে দখল করে আছে। টার্মিনালে নির্মাণাধীন ঢাকা-সিলেট ৬ লেন মহাসড়কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অস্থায়ী ঘর নির্মান করা হয়েছে। এর সামনে কিছুসংখ্যক সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাখা আছে। সেখান থেকে বাস রেখে চলাচলের কোন জায়গা নেই। অথচ দরপত্রের শর্তের ৫নং কলামে লেখা আছে রশিদের মাধ্যমে সেখান থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন যানবাহন থেকে নির্ধারিত টাকা উত্তোলন করতে। শর্তের ৮ এবং ৯ নং কলামে শৌচাগারের কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে টার্মিনালে কোন শৌচাগারের দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান বলেন, দরপত্র বাতিলের একটি আবেদন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি, তবে তা আমার টেবিলে এখনো আসেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি টার্মিনাল সরেজমিনে পরিদর্শন করিনি। সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় দেখেছি। আগে ইজারাদার কিছু দোকানপাট তুলে শর্তভঙ্গ করেছেন। আমরা দেখে শুনে প্রয়োজনে আবার ইজারা দিব।