প্রকাশ: রোববার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৪২ অপরাহ্ন

হামাসের বন্দিদশা থেকে দ্বিতীয় দফায় মুক্তি দেয়া হয়েছে ১৩ জন ইসরায়েলি এবং চারজন থাই নাগরিককে। আজ রোববার তারা ইসরায়েলে পৌঁছেছে।
কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতার মাধ্যমে চার দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন ইসরায়েলি এবং ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) গভীর রাতে হামাস বন্দিদের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে। এরপর জিম্মিদের রাফাহ বর্ডার ক্রসিংয়ের মিশরীয় দিকে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মুক্তি পাওয়া ১৩ ইসরায়েলির মধ্যে ছয়জন নারী এবং সাতজন শিশু ও কিশোর আছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, মুক্ত জিম্মিরা ইসরায়েলের পথে রয়েছে, যেখানে তারা তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হবে।
ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৩ জন শিশুসহ ৩৯ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
আল জাজিরা টিভি, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেতুনিয়া শহরে যাওয়ার পথে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বিপুল সংখ্যক উল্লাসী ফিলিস্তিনি বন্দিকে বহনকারী একটি রেড ক্রস বাসের লাইভ ফুটেজ প্রচার করেছে।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস-ইসরায়েলের সাথে সম্মত হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখবে। গত ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে তাণ্ডব চালানোর পর থেকে যুদ্ধে প্রথম বিরতি এটি।
সেই হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজা পরিচালনাকারী হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ছিটমহলে বোমা ও শেল বর্ষণ এবং উত্তরে স্থল আক্রমণ শুরু করে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ১৪ হাজার ৮০০ জন যাদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও যুবকের বিনিময়ে, শনিবার হামাস কর্তৃক শিশু ও বৃদ্ধসহ আরও ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়।