মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
 

আগাম সবজি চাষে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা শেরপুরের চাষীদের
শেরপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশ: সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩, ৬:০০ অপরাহ্ন

অন্যতম সবজি উৎপাদন অঞ্চল বলে খ্যাত শেরপুর জেলা ( উত্তর) গারো পাহাড় অঞ্চলে রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। 

প্রতিবছর রবি মৌসুমের শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করে কম-বেশি লাভবান হওয়া যায়। যা মৌসুমের অন্য সময় চাষাবাদ করলে নাও হতে পারে। গারো পাহাড়ি অঞ্চলের মাঠগুলোতে এখন রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজিতে মাঠে মাঠে সবুজের হাসি। শেরপুর জেলা (উত্তরে) ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আগাম সবজির চাষও হয়েছে। 

শীতকালীন সবজিতে শেরপুর জেলা ( উত্তর) ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ। কেউ ক্ষেতে সবজি তোলতে ব্যস্ত। কেই কীটনাশক স্প্রে করছেন। কেউবা জমির আগাছা পরিচর্যা করছেন। কেউ আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। 

সব মিলিয়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, করলা, লাউ, কদু, ঝিঙে, বরবটি, মিষ্টি লাউ, কুমুড়, ঢেঁড়স, গাজর, পটল, বেগুন, শিম, টমেটো, লাল ও পালংশাকসহ বিভিন্ন জাতের সবজিতে ভরে গেছে মাঠ। গ্রামীণ জনপদ সড়েজমিন ঘুরে দেখা যায়, রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজি নিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন কর্মব্যস্ততা। 

ঝিনাইগাতীর সবজি গ্রাম গুমড়া, গারোকুনা, হলদিগ্রাম, সন্ধাকুড়া ও মানিককুড়া, জারুনতলা ইত্যাদি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল-সন্ধ্যা সবজিতে পরিচর্যা করছেন কৃষক কিষাণি। 

কেউ চারা ও বীজ বপনে ব্যস্ত। অনেকেই আগাম সবজি মাঠ থেকে তুলে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। শেরপুর চরাঞ্চলেও হরেক সবজি চাষ বেশি হয়। অনেক কৃষক শীতকালীন আগাম সবজি চাষ শেষ করেছেন। তুলে ওই জমিতে নতুন করে সবজি চাষে আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গারো পাহাড়ি ৩টি উপজেলা সবজিখ্যাত। বারোমাসই রকমারি সবজি ফলান কৃষকরা। 

গুমড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক আনোয়ার হোসেন ও হলদিগ্রামের আব্দুল বাতেনসহ কৃষকরা জানান, রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজি আবাদে তিনভাগে চাষে নামেন। অনেকেই শীতের প্রথম ভাগে সবজি বাজারে তুলতে মাঠে নামেন। কারণ এ সময়ে ভালো দাম পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ভাগে শীতের মাঝামাঝিতে সবজি হাটে-বাজারে তোলার প্রস্তুতিতে কাজ করেন। এ সময়েও ভালো দাম পাওয়া যায়। তবে শেষভাগে বেশি উৎপাদিত হলেও ভালো দাম পাওয়া নিয়ে অনেকটা অনিরাপদ থাকেন। 

কৃষকরা জানান, শীতকালীন সবজি আবাদে আবহাওয়ার হেরফের হলে সবজির ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বৃষ্টি ও ঘনকুয়াশায় ফসলের ক্ষতি হয়। সবজি চাষে বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। অল্প সময়েই বাজারজাত করা যায়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করা যায়। 

শেরপুর কৃষি বিভাগের খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচলাক ( উদ্ভিদ সংরক্ষণ ) হুমায়ুন কবির ও ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান, জেলার চরাঞ্চল ও গারো পাহাড়ি অঞ্চলে শীতকালীন সবজি বেশী চাষ হচ্ছে। গত ১৬ অক্টোবর থেকে রবি মৌসুম শুরু হয়েছে। কৃষকেরা এখন শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত। চাষ ও চারা উৎপাদনে কৃষি বিভাগের সহায়তায় চাষিরা পলিনেট হাউজে চারা উৎপাদন ও বিক্রি করছে। নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বাজারে শীতকালিন আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। 

এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ অন্যন্য জেলায় চলে যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজার দর ভালো থাকলে শীতকালীন সবজি চাষে বেশ লাভবান হবেন কৃষকরা।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172, বাণিজ্যিক বিভাগ : +8802-58316175,+8801711443328, E-mail: info@jobabdihi.com , contact@jobabdihi.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft