প্রকাশ: সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২, ১২:১৩ অপরাহ্ন

ডেপুটি স্পিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রথম জানাজা জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে মরদেহ রাখা হবে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার পর রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে লাশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আনা হয়। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে তার মরদেহ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার মরদেহ দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটায় নেওয়া হবে। ঢাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে দুপুর তার মরদেহ পৌঁছাবে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া কাজী আজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
পরে সেখান থেকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বসাধারণে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। ওই মাঠে বিকেল ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি গটিয়া গ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে নিজ বাড়ির চত্বরে বিকেল সাড়ে ৫টায় আরেকটি জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানান ফজলে রাব্বি মিয়ার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বি।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
এদিকে গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি ২৩ জুলাই থেকে শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়। রোববার (২৪ জুলাই) সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৯০ দিনের দিনের মধ্যে এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
-জ/অ