শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
 

মুজিবনগরে দোকান বরাদ্দের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২, ৮:২৭ অপরাহ্ন

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে নবনির্মিত জেলা পরিষদের মার্কেটে দোকান ঘর বরাদ্দ দেওয়ার নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা বাজার কমিটির সভাপতি আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেদারগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি কুতুব উদ্দিন মল্লিক জেলা পরিষদের নামে দোকান প্রতি প্রায় ৪ লাখ টাকা করে আদায় করেছে বলে অভিযোগ করেছে বেশ কিছু দোকান মালিক। দোকান মালিকদের অভিযোগ জেলা পরিষদের নামে কোন দোকানে ৪ লাখ দোকানে ৩ লাখ এভাবে প্রায় ২৪-২৫ টি দোকান মালিকদের কাছে থেকে টাকা আদায় করে কুতুব উদ্দিন মল্লিক। জেলা পরিষদ, দোকান ঘর বরাদ্দের জন্য দোকানদারদের কাছে টাকা দাবি করলে কুতুব মল্লিকের টাকা আত্মসাৎতের বিষয়টি সামনে আসে।

জানা গেছে, কেদারগঞ্জ বাজারে স্বরসতি খাল সংলগ্ন জেলা পরিষদের জমিতে ২৮ টি দোকান ঘর নির্মান করে জেলা পরিষদ। পরে নিয়ম অনুযায়ি দোকান ঘর বরাদ্দ নিতে দোকান লিখিত আবেদনসহ ঘর বরাদ্দের টাকা দেওয়ার জন্য দোকানিদের নোটিশ দেয় জেলা পরিষদ। এদিকে দোকান ঘর পাবার আশায় বাজার কমিটির সভাপতির হাতে টাকা দিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দোকানিরা। টাকা আদায়ের জন্য বারবার কুতুব মল্লিকের কাছে ধর্না দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।
 
ইত্যাদী হার্ডওয়ার দোকানের সত্তাধীকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদের ২টি দোকান ঘর বরাদ্দের জন্য প্রথম ধাপে ২ লাখ, ২য় ধাপে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা কুতুব উদ্দিন মল্লিকের কাছে দিই। জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্দ বাবদ টাকা নেওয়া হলো এই মর্মে লিখিতও দেয় কুতুব মল্লিক। কিন্তু সেই টাকা জেলা পরিষদের জমা হয়নি। পরে আমার দোকান হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে পুনরায় জেলা পরিষদকে ২টি দোকান বাবদ ৮ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। তন্নি কম্পিউটারের সত্তাধীকারী হারুন অর রশিদ জানান, জেলা পরিষদের গোপনীয় শাখার সাবেক সহকারী (বর্তমানে রাজবাড়ি জেলা পরিষদে কর্মরত) শাহ জাহান দোকান তৈরি করার সময় আমার কাছে ১০ হাজার টাকা নেয়। পরে ৩০ হাজার টাকা জেলা পরিষদের ব্যাংক একান্টে দিয়েছি। এখনো ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করেছে সুরাফদ্দিন নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। 

দোকান বরাদ্দ পাবার আশায় কুতুব মল্লিকের কাছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন আর্শাদ মল্লিক নামের আরও এক ব্যবসায়ি। তিনি জানান, ৯০ হাজার টাকা আমি জেলা পরিষদের ব্যাংক একাউন্টে দোকান ঘর বরাদ্দ বাবদ জমা দিই। পরে জেলা পরিষদের সদ্য বিদায় নেওয়া চেয়ারম্যানের কথা মত ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কুতুব মল্লিকের কাছে দিই। পরে জানতে পারছি টাকা জেলা পরিষদের জমা হয়নি। এখন জেলা পরিষদ পুনরায় আমার কাছে টাকা দাবি করছে। না হলে দোকান অন্য কাওকে দিয়ে দেবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান এই মার্কেটের প্রায় ২৩-২৪ টি দোকান বরাদ্দের টাকা কুতুব মল্লিকর কাছে দেওয়া হয়েছে।
 
টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে কুতুব উদ্দিন মল্লিক বলেন, জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্দের কোন টাকা আমি নিইনি। এটা জেলা পরিষদের বিষয়। আমি জেলা পরিষদের কেউ না। কুতুব উদ্দিন মল্লিকের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে সদ্য বিদায় নেওয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বলেন, জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্দের জন্য ৯ জন টাকা দিয়েছে। বাকি ১৯টি দোকানের টাকা কুতুব মল্লিকের কাছে আছে শুনেছি। আমরা কুতুবকে বার বার জেলা পরিষদের ডেকে নিয়ে টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172, বাণিজ্যিক বিভাগ : +8802-58316175,+8801711443328, E-mail: info@jobabdihi.com , contact@jobabdihi.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft