প্রকাশ: রোববার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে ছিলো ইন্ডিয়ান ‘র’ এর আদিপত্য। ভারতের পোষা বিশেষ এই বাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিটি বিষয়েই নাক গলিয়েছে সবসময়। তবে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা পালানোর পর ভারতীয় এই বিশেষ বাহিনী বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে এমনটিই ভেবে নিয়েছিলো সবাই। কিন্তু সেই ধারণাটিও যে ভুল। সম্প্রতি এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ মন্তব্য করেছিলেন, ‘র’-এর স্টেশন হেডের সঙ্গে মিটিং করে তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না’। তার এমন মন্তব্যের পর চারিদিকে শুরু হয় আলোচনা। ‘র’ এর স্টেশন হেড কে তা নিয়ে চলতে থাকে কানাঘুষা। এর মাঝেই এক ব্যক্তিকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর স্টেশন হেড দাবি করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
এই সাংবাদিকের পোস্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে ‘র’-এর স্টেশন হেডের নাম রাজেশ কুমার অগ্নিহোত্রী। সায়ের তার পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের পরও রাজেশ কুমার অগ্নিহোত্রী ঢাকায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর স্টেশন চিফ হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলরের কভারে কাজ করে চলেছেন।’
ফ্যাসিস্ট হাসিনা এখনো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সহায়তায় বাংলাদেশে তার রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও সায়ের তার পোষ্টে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিম এই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে বিগত ১৫ বছর এবং রাজেশের মতো আওয়ামী ল্যাপডগেরা এখনো দেশের অভ্যন্তরে ডিপ্লোম্যাটের কভারে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজেশ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে।’
প্রবাসী এই সাংবাদিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অতি দ্রুত রাজেশকে ভারতে ফেরত পাঠাতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, সেটাই কামনা করছি।’ এদিকে ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারিও রাজেশ কুমার অগ্নিহোত্রীকে নিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন জুলকারনাইন সায়ের।
এই সাংবাদিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশ এখনো ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ মুক্ত হতে পারেনি। ভারতীয় বিশেষ এই বাহিনীটির কাজই হলো পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে সেদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলা।