প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:২০ অপরাহ্ন

গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ শাসসুজ্জোহা পার্কে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্ত্যেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা যেমন বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়েছে তেমনি আওয়ামী লীগেরও বারোটা বাজিয়েছে এবং এটা সে করছে খুব ঠান্ডা মাথায়, সুপরিকল্পিত ভাবে। শেখ হাসিনা তার পিতার হত্যাকান্ডের পরে ১৯৭৫ সালে যখন সে রাজনীতিতে প্রথম পদার্পন করার পদক্ষেপ গ্রহন করে তখনই শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল কথা ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। যারা তার বাবাকে হত্যা করেছে তিনি তার বাবার হত্যাকারীদের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাজনীতিতে এসেছিলেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের সাধারন জনগণের কাছে থেকে প্রতিধোশ নেন নাই আওয়ামী লীগের কাছ থেকেও তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন।
মামুনুল হক বলেন, প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে শেখ হাসিনা দলীয় করণ করেছিল। ডিজিএফআই, এনএসআই সহ গোটা বাংলাদেশের প্রশাসনকে অন্য সকল রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছিল। আমার বিরুদ্ধেও গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে লেলিয়ে দিয়েছিল শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আগে থেকে অনুমান করতে পেরেছিলেন তার রাজনৈতির বারোটা বেজে গিয়েছে। যখন তিনি নিশ্চিত হয়েছেন, এদেশে তার সময় ফুরিয়ে এসেছে, তার রাজনীতি অতীত হয়ে গিয়েছে, তখন তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এবং দলকে রক্ষা না করেই ছাত্রজনতার উপর হেলমেট বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন। তলে তলে তিনি তার ১৪টা লাগেজ গুছিয়েছে দেশটাকে ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক অধ্যায় কোন শাসক তন্ত্র করে নাই।
ভারতের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, শত শত খুনের আসামী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার কাছে তুলে দিতে হবে।
অন্তর্বতিকালীন সরকারের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের অধিপত্যের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলতে হবে।
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, আপনাদের উচিত হলো শেখ হাসিনার সকল স্মৃতি চিহ্ন বাংলার মাটি থেকে নিজ হাতে কবর রচিত করে দেওয়া। জুলাই এবং আগষ্ট বিপ্লবের সময় বাংলার দামাল ছেলেরা শেখ হাসিনার বিভাজনের রাজনৈতি ব্যর্থ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণ সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হুসাইন আহমাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মওলানা শারাফত হুসাইন, মওলানা শরীফ সাইদুর রহমান প্রমুখ। গণসমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। পরে তিনি সকলের উদ্দ্যেশে দোয়া করেন।