প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৫১ অপরাহ্ন

যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস (মেট) বলছে, এল নিনো সক্রিয় থাকার প্রভাব পড়েছে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে। এল নিনো হ্রাস পেলেও ২০২৫ সাল উষ্ণ হতে চলেছে। এ বছর ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ তিন বছরের মধ্যে একটি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ বছরও তাপমাত্রা বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা ঠিক কোন সময় বেড়ে যাবে, এটা বলা মুশকিল। এ বছর গ্রীষ্মকাল শুরুই হবে গরম দিয়ে। সুতরাং অস্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকাটাই স্বাভাবিক। -আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান প্রবণতা এবং বৈশ্বিক পূর্বাভাস বিবেচনা করে ২০২৫ সালে বাংলাদেশে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম পড়তে পারে। তাপপ্রবাহের সংখ্যা এবং তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে যা জনস্বাস্থ্য, কৃষি এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এ বছরও তাপমাত্রা বেশি থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাপমাত্রা ঠিক কোন সময় বেড়ে যাবে, এটা বলা মুশকিল। এ বছর গ্রীষ্মকাল শুরুই হবে গরম দিয়ে। সুতরাং অস্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকাটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে তাপপ্রবাহের ধরনও বদলেছে। তাপপ্রবাহ দেরিতে শুরু হচ্ছে। আগে মার্চে হতো। কিন্তু গত বছর এপ্রিলে হয়েছে। দেরিতে হয়ে এটা অনেক দীর্ঘ হয়েছে। গত বছর জুলাই পর্যন্ত তাপপ্রবাহ ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসের স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এ বছরের জানুয়ারির গড় নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এটি ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১ ডিগ্রি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি বেশি ছিল। পুরো জানুয়ারি মাসে সারাদেশে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এছাড়া ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও দেশের সার্বিক তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি বেশি ছিল।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও এক-দুই দিন বজ্রবৃষ্টি ও শিলাসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস স্থানীয় আবহাওয়া পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন প্রভাবকের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, এখন তাপমাত্রার একটা ক্রমবর্ধমান প্রবণতা বা রাইজিং ট্রেন্ড চলছে। এটা সারা বিশ্বব্যাপী। ফেব্রুয়ারিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ এখন কিন্তু শীত মৌসুম। মার্চে তাপমাত্রা আরও বেশি থাকবে।