প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১৯ অপরাহ্ন
সুইডেনে প্রকাশ্যে কোরআন পুড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা সৃষ্টি করা সালওয়ান মোমিকা গুলিতে নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সালওয়ান মোমিকা মূলত ইরাকি নাগরিক। তিনি সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে ছিলেন।
২০২৩ সালে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন একটি মসজিদের সামনে কোরআন পোড়ান তিনি।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার দায়ে আজ মোমিকার বিরুদ্ধে আদালতের রায় দেওয়ার কথা ছিল। তবে আদালতে উপস্থিত হওয়ার আগেই গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালে সুইডেন এবং ডেনমার্কে কোরআন পোড়ায় কিছু দুস্কৃতিকারী। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলোর নিন্দা জানায়। এছাড়া কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তা সত্ত্বেও মোমিকা ও তার কিছু সহযোগী কোরআন পোড়ানো অব্যাহত রাখে। এতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
এরআগে বৃহস্পতিবার স্টকহোম বিভাগীয় আদালত জানায়, পূর্বনির্ধারিত একটি মামলায় রায় ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। কারণ মামলার এক অভিযুক্ত মারা গেছে। পরবর্তীতে বিচারক জানান, যিনি গুলিত নিহত হয়েছেন তিনি হলেন কোরআন পোড়ানো মোমিকা। তবে মোমিকা কীভাবে মারা গেছেন সেটি নিশ্চিত করেননি এ বিচারক।
সুইডেনের স্টকহোম পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ড সন্দেহে তদন্ত শুরু হয়। এতে জড়িত থাকার দায়ে অন্তত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩৮ বছর বয়সী এই ইরাকি ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি লাভ করেন। তিনি ওই বছর একাধিকবার কোরআন অবমাননা করেন।
‘বাক স্বাধীনতার’ দোহাই দিয়ে সুইডেনের সরকার মোমিকার এই কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়েছিল। এমনকি যে সময় তিনি কোরআন পোড়ান তখন পুলিশ তাকে নিরাপত্তাও দেয়। তবে এ নিয়ে যখন উত্তেজনা বাড়তে থাকে তখন দেশটির সরকারকে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, মোমিকার এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে ইসলামপন্থিরা সুইডেনে হামলা চালাতে পারে। বিক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে সুইডিশ সরকার মোমিকার রেসিডেন্স পারমিট বাতিল করে। তবে তাকে নিজ দেশ ইরাকে ফেরত পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা তারা করেনি।