প্রকাশ: রোববার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪২ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আজ দলীয় সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার মুকসুদপুরে ফ্যাসীবাদী শক্তির সমর্থকেরা বিএনপি নামধারী বর্ণচোরা সেজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। সঠিক তথ্য না পেয়ে কোনোকোনো মিডিয়া বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করেছে। জেলার কোনো স্তরেই বিএনপির মধ্যে কোনো প্রকার গ্রুপিং বা বিভক্তি নেই। জেলার ৫ উপজেলা ও ৪ পৌরসভার সর্বত্র বিএনপি ও অংগ সংগঠনের কার্যক্রম সুচারু রূপে চলছে। তবে দু:খজনক হলেও সত্য বহু পূর্বে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, বহিস্কৃত, সংস্কারপন্থী, পদত্যাগী কিছু ব্যাক্তি বিগত ১৫/১৬ বছর বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেন না। তারাই এখন স্বৈরাচারের দোসরদের কৌশলে জনসম্মুখে এনে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। জেলা বিএনপি এধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। একই সাথে কোনো ব্যাক্তির প্রচারণা ও প্রভাবের শিকার না হয়ে যথার্থতা যাচাই সাপেক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অন্যান্য ইউনিট সম্পর্কিত সঠিক সংবাদ পরিবেশনের জন্য জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম বাবর,জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মো: মাহমুদ কবির আলী, জেলা বিএনপি নেতা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাড.এমএ আলম সেলিম,সদস্য অ্যাড.তৌফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা এম. মাহবুব আলী সোহেল, জেলা যুবদল সভাপতি রিয়াজুদ্দিন লিপটন, সাধারন সম্পাদক রাসেকুজ্জামান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন হীরা, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মিকাইল হোসেন, জেলা ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি শিকদার শহিদুল ইসলাম লেনিন, সাধারন সম্পাদক ফজলুল কবীর দ্বারা, গোপালগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি হাসিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মো: কবিরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে নেতৃবৃন্দ জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে জেলা আইনজীবী ভবন পর্যন্ত যায়।
মিছিল শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান, বিএনপি নেতা কেএম বাবর প্রমুখ।